Saturday, September 13, 2025
Homeকুষ্টিয়াইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) রোববার রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের হল এলাকায় মধ্যরাতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে  ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।

পরে রাত দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব ১০-১২জন কর্মী নিয়ে সাদ্দাম হোসেন হলে বিদ্রোহী গ্রুপের কর্মী মোশারফ হোসেন নীলের কক্ষে যান। নীল ছাত্রলীগের প্রোগামে কর্মীদের যেতে অনুৎসাহিত করার অভিযোগে তার সঙ্গে কথা বলেন সম্পাদক। একপর্যায়ে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তারা। পরে নীল হলের সামনে বিদ্রোহী গ্রুপের নেতা কর্মীদের নিয়ে অবস্থান নেন। সম্পাদক তার কর্মীদের নিয়ে হল থেকে বের হলে তাদের মধ্যে আবারও বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে সম্পাদকসহ কর্মীদের ধাওয়া দেয় বিদ্রোহী গ্রুপ।

পরে রাত সাড়ে ১২টায় সভাপতি ও সম্পাদক গ্রুপের দুই শতাধিক কর্মী মিছিল নিয়ে বঙ্গবন্ধু হলের সামনে গেলে লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ফের তাদের ধাওয়া দেয় বিদ্রোহী গ্রুপ। এক পর্যায়ে দু’পক্ষ লাঠি ও দেশিয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় জিয়া ও বঙ্গবন্ধু হল এলাকায় কয়েক রাউন্ড গুলি ও ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটে। পরে রাত ২টার দিকে বঙ্গবন্ধু হলে সভাপতি গ্রুপের কর্মীদের কয়েকটি রুম ভাঙচুর করে বিদ্রোহী গ্রুপ। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক পরেশ চন্দ্র বর্মণ ও সহকারী প্রক্টর এসএম নাসিমুজ্জামান ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রলীগের বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

ছাত্রলীগের বিদ্রোহী গ্রুপের মোশারফ হোসেন নীল বলেন, সাধারণ সম্পাদক বেশকিছু কর্মী নিয়ে আমার রুমে আসে। আমি রুমের দরজা লাগিয়ে রাতের খাবার খাচ্ছিলাম। সম্পাদকের কর্মী সুমন (ফিন্যান্স বিভাগ) দরজায় লাথি দেয়। এরপর আমাকে হল থেকে চলে যেতে বলে। কথা বলার একপর্যায়ে তারা আমাকে মারধর করে। রুমের জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। পরে বড় ভাইরা এসে আমাকে উদ্ধার করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, নীলকে মারধরের মত কোন ঘটনা ঘটেনি। এটি বানোয়াট ও মিথ্যা। কিছু অছাত্র ও বহিরাগত  ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। আমরা সাংগঠনিক ও প্রশাসনিকভাবে এর ব্যবস্থা নেব।

বিদ্রোহী গ্রুপের নেতা তন্ময় সাহা টনি বলেন, সাধারণ সম্পাদক রাকিবের নেতৃত্বে খাবার খাওয়ার সময় আমাদের দুই কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা আমাদের ওপর চড়াও হন। পরবর্তীতে আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক পরেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে দু’গ্রুপের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে শিক্ষার্থীদের হলে পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছি। ক্যাম্পাসের অবস্থা এখন শান্ত আছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments