প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের প্রথম সন্তান। তিনি ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
শনিবার শেখ হাসিনার জন্মদিনে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলো। গত কয়েক বছরের মতো এবারও জন্মদিনে দেশের বাইরে থাকছেন শেখ হাসিনা। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশগ্রহণের জন্য বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে আছেন তিনি।
শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে শুক্রবার জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ সারা দেশের মসজিদে দোয়া এবং অন্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়েছে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ তিন মেয়াদে রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৬ সালে তার নেতৃত্বে দীর্ঘ ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসে দলটি। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তিন-চতুর্থাংশ আসনে বিজয় অর্জনের মাধ্যমে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার গঠিত হয়। এরপর ২০১৪ সালের ৫ জানুযারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জিতে দ্বিতীয় এবং ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।
ষাটের দশকে ইডেন কলেজে ছাত্রলীগের কর্মী হিসাবে হাসিনার রাজনৈতিক জীবনের শুরু। ১৯৬৬-৬৭ সালে ছাত্রলীগ থেকে ইডেন কলেজের ছাত্রী সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী থাকাকালে ছাত্রলীগের রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়ই শেখ হাসিনা মা, বোন শেখ রেহানা ও ছোট ভাই শেখ রাসেলের সঙ্গে ঢাকায় বন্দি ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট সেনাবাহিনীর একদল সদস্য সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করার সময় হাসিনা দেশে ছিলেন না। সে সময় তিনি স্বামী এম ওয়াজেদ মিয়ার জার্মানির কর্মসূত্রে বেলজিয়ামে অবস্থান করছিলেন।
এরপর দীর্ঘ সময় দেশে ফিরতে পারেননি শেখ হাসিনা। ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে হাসিনার অনুপস্থিতিতেই আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তাকে দলীয় প্রধান নির্বাচিত করা হয়। ওই বছরের ১৭ মে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নেন তিনি।