Saturday, September 13, 2025
Homeজাতীয়অপরাধঅভিযোগকারীকেই আটকে রেখেছিলেন আমিনুল

অভিযোগকারীকেই আটকে রেখেছিলেন আমিনুল

রংপুরের ভেন্ডাবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ আমিনুলের বিরুদ্ধে এবার বিচারপ্রার্থী এক আদিবাসী নারীর স্বামীকে হাজতে নিয়ে মারপিট ও স্ট্যাম্পে সই করে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। বিকাশ এজেন্টের বিরুদ্ধে স্বামীর পাঠানো ৮ হাজার টাকা মেরে দেয়ার অভিযোগ করার ফল হিসাবে উল্টো ৯০ হাজার টাকার দায় নিয়ে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে যোগেশ মিনজি নামে এক দোকান কর্মচারীকে।

অন্তঃসত্ত্বা জোলেখা খালকোর প্রসবকালীন খরচের জন্য গত ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে ৮ হাজার টাকা পাঠান তার স্বামী যোগেশ মিনজি। বিকাশ এজেন্ট আলম সেই টাকা না দিয়ে উল্টো তার কাছে ৯০ হাজার টাকা দাবি করেন। একথা জেনে যোগেশ পরদিন ঢাকা থেকে এসে প্রতারণার বিচার চাইতে তদন্ত কেন্দ্রে যান। কিন্তু অভিযুক্তের পক্ষ নিয়ে ইনচার্জ আমিনুল যোগেশকে হাজতখানায় ঢুকিয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন এবং তার কাছে আলম ৯০ হাজার টাকা পান; এমন অঙ্গীকারনামায় জোর করে স্বাক্ষর নেন।

তিনি বলেন, আমাকে সারাদিন আটকে রেখেছিল। ওই সময়ে কোনো খাবারও দেয়ন। টেলিফোনে সময় সংবাদের কাছে আমিনুল থানায় অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর নেয়ার কথা স্বীকার করলেও এর দায় চাপালেন অন্যদের ওপর।

ভেন্ডাবাড়ি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বলেন, এখানে মারধরের কোনো বিষয় নাই, জবরদস্তির কোনো বিষয় নাই। এবং এটা ওসি সাহেব জানেন। চেয়ারম্যান এটা করেছে যেহেতু টাকা পাওয়ার কথা তারা স্বীকার করেছে। তবে আমি বলেছি, সেটা আমার অনুপস্থিতিতে নেয়ার জন্য।

অবশ্য আমিনুলের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগের তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন রংপুরের পুলিশ সুপার বিপ্লব সরকার।
তিনি বলেন, সকল তথ্য সংগ্রহ করে তদন্তকারী কর্মকর্তারা প্রতিবেদন জমা দিবে। এরপর সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ভেন্ডাবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহারের পর আমিনুলের নামে এমন অনেক অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments