Tuesday, September 16, 2025
Homeজাতীয়অপরাধক্যাসিনো সম্রাট ভারত হয়ে দুবাইয়ে পালাতে চেয়েছিলেন

ক্যাসিনো সম্রাট ভারত হয়ে দুবাইয়ে পালাতে চেয়েছিলেন

ক্যাসিনো-কাণ্ডে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পরও যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট শঙ্কিত ছিলেন না। সহস্রাধিক নেতাকর্মী নিয়ে রাজধানীর কাকরাইলে ব্যক্তিগত অফিসে অবস্থান করেন সম্রাট। তবে খালেদকে রিমান্ডে নেওয়ার পরই ক্যাসিনো-কাণ্ডে সম্রাটের জড়িত থাকার বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়। গুঞ্জন ছড়াতে থাকে, যে কোনো সময় গ্রেপ্তার হতে পারেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি সম্রাট।

এ অবস্থায় গা-ঢাকা দেন সম্রাট। ভারত হয়ে দুবাই পালানোর পরিকল্পনা ছিল তার। কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের কথা ছিল। তবে এর আগেই ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সহযোগী দক্ষিণ যুবলীগের সহসভাপতি এনামুল হক আরমানসহ তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

অস্ত্র ও মাদক মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সম্রাটকে ১০ দিন এবং মাদক মামলায় আরমানকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে র‌্যাব। মঙ্গলবার তাদের রিমান্ড নেওয়া হয়। ক্যাসিনো বা জুয়ার আসর থেকে রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও পুলিশসহ অন্যান্য মহলের কে কত টাকা পেতেন, কারা এসব কর্মকাণ্ডকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিতেন সেসব বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাদের। ইতিমধ্যে সম্রাট প্রভাবশালী অনেকেরই জড়িত থাকার বিষয়টি জানিয়েছেন। সূত্র জানায়, সম্রাটের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে আইনের আওতায় আনা হতে পারে প্রভাবশালী অনেককেই। এমনকি আইনি প্রক্রিয়ায় সম্রাটের মুখোমুখি করা হতে পারে তাদের। অবশ্য সম্রাট রিমান্ডে যাওয়ার পর আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তার সহযোগী ও ক্যাসিনো কারবারের সুবিধাভোগীরা। সম্রাট জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, ভারতে পালিয়ে যাওয়ার জন্যই আরমানকে নিয়ে তিনি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আত্মগোপনে ছিলেন। সুযোগ মতো ভারতে ঢুকে পড়তেন। এরপর সেখান থেকে দুবাই পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তার নিয়ন্ত্রিত ফকিরাপুলের ইয়ংমেনস ক্লাবসহ ওইদিন চারটি ক্যাসিনো ক্লাব সিলগালা করে দেওয়া হয়। খালেদকে বহিস্কার করা হয় যুবলীগ থেকে। ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িতরা আতঙ্কিত হয়ে আত্মগোপনে চলে যেতে শুরু করেন। কিন্তু সম্রাট ভাবতেও পারেননি, বর্তমান সরকারের সময় তাকে গ্রেপ্তার হতে হবে। এ কারণে অভিযানের শুরুর কয়েকদিন তিনি কাকরাইলের অফিসে অবস্থান করেন নেতাকর্মীদের নিয়ে। ঢাকার একাধিক ক্যাসিনো নিয়ন্ত্রণ করতেন সম্রাট। গুঞ্জন শুরু হয় সম্রাটও গ্রেপ্তার হচ্ছেন। এরপর সম্রাটের মধ্যেও গ্রেপ্তার আতঙ্ক দেখা যায়।

সম্রাটের পরিকল্পনা ছিল কুমিল্লা সীমান্ত পার হয়ে যাবেন ভারতে, সেখানে কিছুদিন থাকার পর দুবাইয়ে পালাবেন দুই বন্ধু। দুবাই থেকে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে যাওয়ারও পরিকল্পনা ছিল তাদের। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাকরাইল অফিস ছেড়ে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পালিয়ে যান সম্রাট ও আরমান।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments