বিতর্কের মুখে ওমর ফারুক চৌধুরীকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন যুবলীগের বঞ্চিত নেতা-কর্মীরা। তাঁরা বলছেন, সংগঠনের বিভিন্ন ধাপে কমিটির নামে বাণিজ্য হয়েছে। ওমর ফারুকের নামেই এসব বাণিজ্য করেছেন বহিষ্কৃত দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান। তাই শুধু অব্যাহতি নয়, বিভিন্ন অনিয়ম তদন্ত করে ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
ওমর ফারুক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা নিতেন বলে জানা গেছে। র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে সম্রাট বলেছেন, প্রতি মাসেই চেয়ারম্যানকে (ওমর ফারুক) নির্ধারিত অঙ্কের টাকা দিতে হতো। এরপরও নানা অজুহাতে তিনি লাখ লাখ টাকা দাবি করতেন। টাকার জন্য বারবার ফোন করে অতিষ্ঠ করে তুলতেন। রমনা থানায় করা অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে এনে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে র্যাব।
র্যাবের এক কর্মকর্তা বলেন, ক্যাসিনো, ফুটপাত ও চাঁদাবাজি থেকে আসা টাকা নিয়মিতভাবে কিছু নেতার হাতে পৌঁছে দিতেন সম্রাট। এমন নেতার সংখ্যা কমপক্ষে ২৫। তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে তিনি জানান।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা আবু কাওসার, যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুর রহমানের ব্যাংক হিসাব স্থগিত।
ব্যাংকগুলোর কাছে পাঠানো চিঠিতে এনবিআর বলেছে, ওমর ফারুক চৌধুরী, তাঁর স্ত্রী শেখ সুলতানা রেখা, ছেলে আবিদ চৌধুরী, মুক্তাদির আহমেদ চৌধুরী ও ইশতিয়াক আহমেদ চৌধুরীর ব্যাংক হিসাব থেকে কোনো টাকা উত্তোলন বা স্থানান্তর করা যাবে না। তাঁদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান লেক ভিউ প্রোপার্টিজ ও রাও কনস্ট্রাকশনের হিসাবের লেনদেনও স্থগিত থাকবে। এর আগে ওমর ফারুক চৌধুরীর বিদেশযাত্রায় নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অনুমতি ছাড়া এখন তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।
এদিকে গতকাল স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা আবু কাওসারসহ তাঁর পরিবারের সদস্য এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করেছে এনবিআর। একই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুর রহমান এবং ঢাকা উত্তর সিটির কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান ওরফে মিজানের ক্ষেত্রেও।