সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেছেন, ‘বর্তমানে দেশে কোন আইন নাই, আছে শুধু পুলিশি ক্ষমতা। সরকার যতই পুলিশি শক্তি দেখাক না কেন, আসলে এটা একটা ঝুলন্ত সরকার। সম্পূর্ণভাবে এই সরকার পুলিশি শক্তি আর পুলিশি মামলার ওপর নির্ভরশীল।’
আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে এক আইনজীবী সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
ব্যারিস্টার মইনুল বলেন, বর্তমান সরকার ভোট ডাকাতির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে জনগণের শক্তিকে অস্বীকার করা হয়েছে। ফলে বর্তমান দেশব্যাপী ভয়ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদেরকে ব্যবহার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে টর্চার সেলের মাধ্যমে ছাত্রদের নির্যাতন করা হয়। এটা কতটা মর্মান্তিক, কতটা নিষ্ঠুর যে তাদেরই এক সহপাঠীকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। এটা শুধু এক জায়গায় হচ্ছে না, সারা বাংলাদেশে এরকম নির্যাতন হচ্ছে। দেশে একটা অরাজকতা পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে।
তিনি বলেন, ক্যাসিনো ব্যবসা করে যে শত কোটি টাকার খেলা খেলে, সম্রাট ‘সম্রাট’ হয়েছে এটা প্রকাশ পেয়েছে। আজকে সরকারের ভেতরের চিত্র বহিঃপ্রকাশ পাচ্ছে। উন্নয়নের রাজনীতির নামে কী করেছে তাদের লোকের মাধ্যমেই জাতির সামনে প্রকাশ পাচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যে আমরা জানতে পারবো, কারা হাজার হাজার কোটি টাকা এদেশ থেকে পাচার করেছে।
মইনুল হোসেন বলেন, অসুস্থ খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সুযোগের জন্য জামিন পাওয়া তার অধিকার। সত্যি কথা বলতে স্বাধীন বিচার বিভাগ হলে এই বিষয়ে এতো আন্দোলন, বক্তব্য, বিবৃতির দরকার পড়তো না। পাকিস্তানের নওয়াজ শরীফকেও অসুস্থতার জন্য জামিন দেওয়া হয়েছে। জামিন দেওয়া তো মুক্তি নয়। মুক্তির দাবি আপনারা করেন। কিন্তু একজন বয়স্ক মহিলাকে চিকিৎসার জন্য জামিনে মুক্তি দেয়া যাবে না, এটা অত্যন্ত অমানবিক।
এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, চেয়ারপারসনের উদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব, বিএনপির নির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা প্রমুখ।