বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে দুই বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে আইসিসি। তিনবার ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও না জানানোয় তার বিরুদ্ধে এ শাস্তির ব্যবস্থা নিলো বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।
শাস্তি মেনে নেওয়া সাকিব ভীষণ অনুতপ্ত। দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বিসিবির মিডিয়া লাউঞ্জে সাকিব আল হাসান মঙ্গলবার জানান, যে খেলাকে আমি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি সে খেলা থেকে নিষেধাজ্ঞা পেয়ে আমি দুঃখিত। আমি আমার দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করতে পারিনি। আমি চাই ভবিষ্যতে কেউ যেন আমার মতো ভুল না করে।
তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইসিসির যে অবস্থান এবং সেজন্য আমার বিরুদ্ধে যে শাস্তি তা আমি মাথা পেতে নিচ্ছি। সবার সমর্থন থাকলে নিষেধাজ্ঞা শেষে আগের থেকে শক্তিশালী হয়ে ফিরব।
সাকিব বলেন, আমার ভালোবাসার খেলাটি থেকে নিষিদ্ধ হওয়ায় আমি অত্যন্ত বিষণ্ণ। তবে (আইসিসিকে) রিপোর্ট না দেয়ায় আমার বিরুদ্ধে যে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে সেটা আমি মেনে নিচ্ছি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভূমিকা পালনের জন্য আইসিসির এসিইউ খেলোয়াড়দের ওপর আস্থা রাখে। কিন্তু আমি এক্ষেত্রে আমার দায়িত্ব পালন করতে পারিনি।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী ক্রিকেটার এবং ফ্যানদের মতো আমিও চাই দুর্নীতিমুক্ত ক্রিকেট। আমি আইসিসির এসিইউ টিমের শিক্ষা প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে তাদের সহযোগিতা করতে চাই এবং আমি যে ভুলটি করেছি তা যেন আর কোনো তরুণ ক্রিকেটার না করেন সেটি নিশ্চিত করতে সহযোগিতা করতে চাই।
এর আগে সন্ধ্যায় জুয়াড়ির সঙ্গে কথোপকথন গোপন করার অপরাধে সাকিবের বিরুদ্ধে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রায় ঘোষণা করে আইসিসি। তবে ঘোষিত রায়ের এক বছরের শাস্তি স্থগিতও করা হয়েছে। একই অপরাধে না জড়ালে আগামী বছরের ২৯ অক্টোবর থেকে মাঠে ফিরতে পারবেন তিনি।