এক সময় বাংলাদেশে গুটিকয়েক সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিল। যার ফলে অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়শুনা করার আকাঙ্খা অপূর্নই থেকে যেত। কিন্তু বর্তমানে দেশে অনেক মানসম্মত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আছে ফলে সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়শুনার সুযোগ পেতে ব্যর্থ হলে তারা এখন এই সব বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মাধ্যমে তাদের আকাঙ্খা পূর্ন করতে পারছে।
কিন্তু বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে পড়াশুনা করতে বড় অঙ্কের টাকা গুনতে হয় বলেই অনেকেরই সাধ্যে কুলোয় না। সাধ এবং সাধ্যের সমন্বয় না ঘটায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার আকাঙ্খাটাও তাদের অপূর্নই থেকে যায়।
এইসব ছাত্রছাত্রীদের সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় ঘটিয়ে তাদের আকাঙ্খা পূরণে এগিয়ে এসেছে ‘বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি'(বিইউ)। বিশেষ করে যারা ফার্মেসি অনুষদে শিক্ষা গ্রহনে আগ্রহী সেইসব শিক্ষার্থীদের জন্য এই বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সুযোগ সুবিধা যথেষ্ঠ পরিমান এবং খরচও অন্যান্য বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর তুলনায় অনেক কম।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির (বিইউ) ফার্মেসী অনুষদের প্রধান প্রফেসর ড. লুবনা জাহান দৈনিক সচেতন বার্তার প্রতিবেদককে বলেন, ‘বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করে যাতে একজন শিক্ষার্থী কম অর্থব্যায়ে শিক্ষাগ্রহন করতে পারে।’ পাশাপাশি, তাদের প্রতিষ্ঠান শিক্ষার মানের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে বলেও তিনি অবহিত করেন।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯২ এর অধীনে ২০০১ সালে রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুর ইকবাল রোড এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এবং তার পাঠক্রম প্রোগ্রাম দ্বারা স্বীকৃত ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কতৃক অনুমোদিত বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে ডিগ্রী প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয়। তারা বিশ্বমানের পেশাদার বৃহৎ বাংলাদেশি সম্প্রদায় ও বিশ্বের প্রয়োজনে প্রতিক্রিয়াশীল উৎপাদক উদ্দেশ্য নিয়ে গবেষণা ও সৃজনশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রয়োগ, জ্ঞান অনুগমন, শ্রেষ্ঠত্ব এবং নতুনত্ব করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রায় ৬ একর জায়গায় প্রতিষ্ঠিত একটি সমৃদ্ধিশালী আবাসিক ক্যাম্পাস। যার নিচতলায় লাইব্রেরি অবস্থিত। যেখানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে একসাথে ৫০০ জনেরও বেশি ছাত্রীর পড়াশুনা করার ব্যবস্থা আছে।
এই ইউনিভার্সিটির ফার্মেসি বিভাগে রয়েছে সময়োপযোগী, আধুনিক ও পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ ল্যাবরেটরি এবং গ্রন্থাগার। নিজস্ব শিক্ষক ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বরেণ্য ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শিক্ষকরা এই বিভাগে শিক্ষাদান করে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নের সাথে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল উন্নতির দিকে বিশেষ নজর রাখা হয় এখানে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি ডিপার্টমেন্টের অংশগ্রহণে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষকদের সেমিনার, ফেস্টিভাল সহ আয়োজন করা হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজে ও অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহন ও সফলতা প্রশংসার দাবীদার। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিমধ্যে সাফল্যের সঙ্গে কৃতকার্য হওয়া ফার্মাসিস্টরা দেশের প্রতিষ্ঠিত ও নামকরা ওষুধ উৎপাদন প্রতিষ্ঠান সমূহে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করছেন। চাহিদার তুলনায় ফার্মেসী বিভাগ হতে ডিগ্রীপ্রাপ্ত কম হওয়ায় এই বিভাগ থেকে ডিগ্রী অর্জনের পর চাকুরীর নিশ্চয়তাও অনেক বেশি। দেশের বাইরেও যথেষ্ট সুযোগ থাকে। বর্তমানে বিশ্বের ইউরোপ, আমেরিকা সহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশেই বাংলাদেশের ফার্মাসিস্টরা সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন।