বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব নয়। তাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে হবে এবং খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। আর এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে।
আজ রবিবার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, ড. মঈন খান, সেলিমা রহমান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম প্রমুখ।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার সব কিছুতে ব্যর্থ হয়েছে, এমনকি বাংলাদেশ নামক যে একটা রাষ্ট্র এই রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানকে ব্যর্থে পরিণত করেছে। তারা হাজার হাজার পুলিশ নিয়োগ দিচ্ছে কিন্তু দেশে কোনো ছিনতাই-রাহাজানি কমছে না। তারা সড়ক নিয়ে আইন করেছে অথচ রাস্তায় প্রতিদিনই মানুষ এক্সিডেন্ট করে মারা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের সামনে একটাই লক্ষ্য গণতন্ত্রের প্রতীক দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি করা এবং স্বৈরশাসকের পতন ঘটানো। এই সরকার জনগণের নির্বাচিত সরকার না। সুতরাং তারা অবৈধভাবে জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। জনগণের সমর্থনে নয়। দেশে গণতন্ত্র, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম সেই গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রয়োজন হলে আবার বুকের রক্ত দিব।
তিনি আরও বলেন, শেয়ার মার্কেট লুট করে নিয়েছে, ব্যাংক চলছে না। বিচার বিভাগ স্বাধীন নয় দলীয়করণ করে নিয়েছে। আজকে মিডিয়াকেও দখল করে নিয়েছে। সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রেখে তারা আজকে সরকার চালাতে চায়, দেশ চালাতে চায়। সুতরাং আমাদের দেশকে যদি রক্ষা করতে হয় নিজেদেরকে রক্ষা করতে হয় তাহলে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।