Monday, September 15, 2025
Homeবাংলাদেশ১০ বছরে বিদেশ থেকে এসেছে ২৬ হাজার ৭৫২ কর্মীর মরদেহ

১০ বছরে বিদেশ থেকে এসেছে ২৬ হাজার ৭৫২ কর্মীর মরদেহ

গত ১০ বছরে বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছে ২৬ হাজার ৭৫২ কর্মীর মরদেহ। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে উন্নত জীবনের প্রলোভনের শিকার হওয়া নারী অভিবাসী শ্রমিকরা প্রতিদিনই শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। ‘নারী শ্রমিক কণ্ঠ’ নামক একটি সংগঠন এ তথ্য জানিয়েছে।

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে অভিবাসী নারী শ্রমিকের নিরাপদ বিদেশ গমন ও নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করার দাবিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন কর্মজীবী নারী’র পরিচালক রাহেলা রব্বানী।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে উন্নত জীবনের প্রলোভনের শিকার হওয়া নারী অভিবাসী শ্রমিকরা প্রতিদিনই শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। কিন্তু এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অপরাপর মন্ত্রণালয় এবং সরকারের কোনো পর্যায় থেকে কোনো ধরনের পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয়।

এ সময় নারী অভিবাসী শ্রমিকদের মানবিক মর্যাদা ও অধিকার সুরক্ষায় সংগঠনটি ১৩টি দাবি উত্থাপন করে। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে— অভিবাসী শ্রমিক প্রেরণের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নীতি অনুযায়ী সকল প্রকার সমঝোতা স্মারক, চুক্তি মেনে অভিবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে; নারী অভিবাসী শ্রমিকদের শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকার ও সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সম্পাদন ও বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।

প্রবাসে কর্মরত নারী শ্রমিকদের নিয়োগকর্তার নাম, কর্মস্থলের ঠিকানাসহ নারীশ্রমিকের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার তথ্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ ও অভিবাসী শ্রমিকের পরিবার তথ্য পেতে হেল্প ডেস্ক চালু করা; প্রলোভন দেখানো রিক্রুটিং এজেন্টের লাইসেন্স বাতিলসহ তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাগ্রহণ করা; অভিবাসী শ্রমিকদের মানবিক মর্যাদা ও অধিকার সুরক্ষায় ঘোষিত আন্তজার্তিক মানদণ্ড বাস্তবায়ন করা; অভিবাসী শ্রমিকরা যেকোনো ধরনের বিরূপ পরিস্থিতির শিকার হলে সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশি দূতাবাস ও কনস্যুলেটের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক উদ্ধার, আবাসন, খাদ্যসহ আইনি সহায়তা প্রদান করা; সরাসরি সরকারিভাবে নারী অভিবাসী শ্রমিক প্রেরণ নিশ্চিত করা; নারী শ্রমিকদের শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের তথ্য জানার পরও দূতাবাসসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের যে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি, তাদের প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনা।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন নারী শ্রমিক জোটের সভাপতি উম্মে হাসান ঝলমল, প্রগতিশীল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কামরুন নাহার প্রমুখ।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments