তিন সন্তানের জনক শহিদ সরদারকে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে বরিশালের গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ। গত শনিবার ওই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করে তার পরিবার। ওই রাতেই পুলিশ অভিযুক্ত শহিদ সরদারকে গ্রেফতার করে।
শিশুটির মা ও মামলার বাদী জানায়, তার স্বামী পেশায় একজন দিন মজুর। তিনি নিজেও ঝিয়ের কাজ করে। তাদের অনুপস্থিতিতে গত শনিবার একই এলাকার নাহিয়ান তার মেয়েকে একা ঘরে পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। তিনি বাসায় ফিরে এলে মেয়ে বিষয়টি তাকে জানায়।
এর আগে গত ৩০ জুলাই সকাল ১০টার দিকে বৃষ্টির মধ্যে তার স্কুল পড়ুয়া কন্যাকে একা ঘরে পেয়ে প্রতিবেশী শহিদ সরদার জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ওই ঘটনায় মামলা করতে চাইলে স্থানীয় আবুল হোসেন মেম্বার ও নাসির সরদারসহ প্রভাবশালীরা সালিশ বৈঠকে ধর্ষক শহিদকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে। ওই ছাত্রীর মা-বাবা মামলা দায়ের করতে চাইলে স্থানীয় প্রভাবশালীরা ভয়ভীতি দেখায়। এ কারণে ওই সময় তারা মামলা দায়ের করতে পারেনি বলে মামলার বাদী অভিযোগ করেন।
শনিবার শিশুটি আবারও ধর্ষণের শিকার হলে ওই দিন রাতেই দুটি ঘটনা উল্লেখ করে গৌরনদী থানায় মামলা করেন ওই শিশুর মা।
গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শনিবার রাতে শহিদ ও নাহিয়ানকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন শিশুর মা। মামলা দায়েরের পরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে শহিদকে গ্রেফতার করে। অপর আসামি নাহিয়ানকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। একই সাথে নির্যাতিত শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে এবং আদালতের নির্দেশে গ্রেফতারকৃত শহিদকে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।