Monday, September 15, 2025
Homeজাতীয়অপরাধ২০ কোটি টাকার সফটওয়্যার চুরির দায়ে প্রকৌশলী কারাগারে

২০ কোটি টাকার সফটওয়্যার চুরির দায়ে প্রকৌশলী কারাগারে

বিগ ব্যাং কম্পিউটারস নামের একটি সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানের সফটওয়্যার চুরির অভিযোগে শাহজালাল শাহিন নামে এক প্রকৌশলীকে মিরপুর থেকে আটক করেছে পুলিশ। সম্প্রতি তাকে আটক করে রিমান্ডে নেয়া হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানটির দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তেজগাঁও থানা পুলিশের তৎপরতায় তাকে গ্রেফতার করা হয়

সফটওয়্যার চুরির ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম জানান, ‘কর্মরত প্রতিষ্ঠান থেকে ২০ কোটি টাকা সমমূল্যের একটি সফটওয়্যার চুরির অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। এ বিষয়ে তদন্ত চলমান আছে।

অভিযোগ তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো জানান , মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্ত শাহজালাল শাহিন বিগ ব্যাং কম্পিউটারস লিমিটেডে ১০ বছর ধরে সিনিয়র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার মাধ্যমে বিগ ব্যাং কম্পিউটারস লিমিটেড প্রায় অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠানে বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদান করত। গত ১৭ অক্টোবর অফিস চলাকালীন দুপুর দেড়টার দিকে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ প্রায় ২০ কোটি টাকা মূল্যের সফটওয়্যার ও সফটওয়্যারের সোর্স কোড এবং নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা চুরি করে পালিয়ে যান।
তার সঙ্গে ওই অফিসের কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করলে তাতে সাড়া দেননি। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে তেজগাঁও থানায় জিডি করা হয় এবং বেসিসে (বাংলাদেশে সফটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন) অভিযোগ দায়ের করা হয়। সর্বশেষ ৫ ডিসেম্বর আসামির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
এ বিষয়ে বিগ ব্যাং কম্পিউটারস লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘শাহজালাল শাহিনের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ল্যাব ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার বিক্রয়োত্তর সেবার জন্য প্রায় অর্ধশতাধিক হাসপাতাল এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠানো হত। আমরা জানতে পেরেছি, সে আমাদের এখানে কর্মরত অবস্থায় এ সফটওয়্যার বিভিন্ন জায়গায় চুরি করে বিক্রি করেছেন এবং অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
একই সঙ্গে তার মাধ্যমে সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোতে চলমান সফটওয়্যারগুলোর সোর্স কোড বুঝিয়ে না দিয়ে বেশ কিছু সফটওয়্যার চুরি করে নিয়ে যায়। সোর্স কোড বুঝিয়ে না দেয়ায় হাসপাতালগুলোতে চলমান সফটওয়্যারগুলো অধিক অর্থ ব্যয় করে বিকল্প পদ্ধতিতে চালানো হচ্ছে। সোর্স কোড না পেলে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বে অনেক হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, প্যাথলজিক্যাল ল্যাব ও বিগ ব্যাং কম্পিউটারস লিমিটেড।’
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments