স্বজনদের জিম্মিকরে প্রকাশ্যে শিশু অপহরণের পর বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আজাদ মিয়া (৩০) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
সোমবার (১ জানুয়ারি) রাতে এক সিএনজি চালক শহরের একটি রাস্তা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে সে বর্তমানে চিকিৎসাধিন রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত রোববার (৩১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের বেতগঞ্জ বাজারে দোকান ঘরের পেছনের দরজা ভেঙে ওই শিশুর (১৩) স্বজনদের জিম্মি করে প্রকাশ্যে তুলে নেয় পাশের রহমতপুর গ্রামের মো. আব্দুর রহিমের ছেলে আজাদ মিয়া।
এরপর শিশুটিকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে ওই বখাটে। পরদিন রাতে ওই শিশুকে শহরের কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় ফেলে যায়। পরে সেখান থেকে এক সিএনজি চালক তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে স্বজনরা মেয়েকে শনাক্ত করেন।
শিশুর বাবা বলেন, তাদের বাড়ি সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার হান্দরচর গ্রামে। মাস খানেক আগে জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে তার সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের বেতগঞ্জ বাজারে আসেন। সেখানে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে চায়ের দোকান শুরু করেন তিনি। দোকানের পিছনের একটি বাসায় তারা থাকতেন।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) রফিকুল ইসলাম জানান, তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তাকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুর রহমান জানান, অভিযুক্তকে আটককের চেষ্টা করছে পুলিশ।