দলীয় চেয়ারপারসনের করোনা নেগেটিভ আসলেও এখনো তিনি ঝুঁকিমুক্ত নন বলে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তবে তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে উন্নতির দিকে। সিসিইউতে তার ‘প্রোপার ট্রিটমেন্ট’ চলছে। দীর্ঘদিন কারাভোগের সময়ে তার চিকিৎসা হয়নি তাই পুরনো শারীরিক জটিলতাগুলো বেড়েছে।
রবিবার (৯ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় দেশবাসীর কাছে খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া চান তিনি। খালেদা জিয়াকে কবে এবং কোন দেশে চিকিৎসার জন্য নেয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে ফফরুল বলেন, এ ব্যাপারে সরকারি সিদ্ধান্তের পরই সব ঠিক করা হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, গত কয়েকদিন ধরে সরকারের মন্ত্রীরা খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে নানা রকম বিরুপ মন্তব্যও করে যাচ্ছেন। এটা কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য না। একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কথা বলার সময় তাদের এতটুকু সৌজন্য শালীনতা বোধ থাকা উচিত। এটাই শেষ দিন না। মানুষ এসব কথা মনে রাখে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ভারতকে খুশি করার জন্য সরকার চীন রাশিয়া থেকে টিকা নেয়নি। এখন ভারত টিকা দেয়া বন্ধ করেছে এই প্রতারণার দায় সরকারকে নিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়তে পারে। কারণ সরকারের কাছে এখন তিন লাখ টন খাদ্য মজুদ রয়েছে। যা অন্তত ১৫ লাখ টন হওয়া দরকার ছিল। এছাড়া বিলম্বে ধানের মূল্য নির্ধারণ করায় কৃষক ও হুমকির মুখে পড়ছে বলে অভিযোগ করেন ফখরুল।