Monday, September 15, 2025
Homeজাতীয়অপরাধখুলনায় কোয়ারেন্টিনে থাকা তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ, এএসআই গ্রেপ্তার

খুলনায় কোয়ারেন্টিনে থাকা তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ, এএসআই গ্রেপ্তার

পুলিশের একজন সহকারী উপপরিদর্শককে (এএসআই) ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভারত থেকে ফিরে খুলনা নগরে কোয়ারেন্টিনে থাকা এক তরুণীকে (২২) ধর্ষণের মামলার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।

অভিযুক্ত মোখলেছুর রহমান খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কোর্ট সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে কর্মরত। তিনি খুলনার প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (পিটিআই) প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেন্টারে ১ মে থেকে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

ভুক্তভোগী ওই তরুণী বাদী হয়ে আজ সোমবার খুলনা সদর থানায় মামলা করেন। খুলনা সদর থানা পুলিশের অফিসার ইন চার্জ (ওসি) আশরাফুল আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলার পর এএসআই মোকলেছুরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিভাগীয় ও ফৌজদারি উভয় দিক দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ওই তরুণীর বাড়ি নগরের খানজাহান আলী থানা এলাকায়। ৪ মে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে তিনি ভারত থেকে বাংলাদেশে আসেন। তাঁকে খুলনা পিটিআই সেন্টারে ১৪ দিনের প্রাতষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। কোয়ারেন্টিন চলাকালে এএসআই মোখলেছুরের সঙ্গে তাঁর পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক হয়। একপর্যায়ে ১৪ মে মোখলেছুর তাঁকে ধর্ষণ করেন।

খুলনা পিটিআইয়ের তত্ত্বাবধায়ক এবং কোয়ারেন্টিন কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দা ফেরদৌসী বেগম জানান, ভারত থেকে আসা নারীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য পিটিআইয়ের মেয়েদের হোস্টেলের দ্বিতীয় তলা ব্যবহার করছে জেলা প্রশাসন। এ পর্যন্ত ১৪ জন নারীকে সেখানে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। ১০ জন কোয়ারেন্টিনে শেষ করে চলে গেছেন। তবে ধর্ষণের ওই অভিযোগের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।

খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, ওই নারীর কোয়ারেন্টিনের সময় এখনো শেষ হয়নি। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মহানগর পুলিশ এবং জেলা প্রশাসন তদন্ত করছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইউসুপ আলীর নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নানা আইনি প্রয়োজনে তাঁকে কোয়ারেন্টিন সেন্টার থেকে বের করে আবার ওই কেন্দ্রেই রাখা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে যে প্রতিবেদন তিনি পেয়েছেন, তাতে ওই ঘটনা সত্য বলেই তাঁরা জেনেছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদন আগামীকাল মঙ্গলবারের মধ্যে পাওয়া যাবে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments