হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতাদের সম্পদের অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এজন্য একজন পরিচালকের নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি।
অভিযোগ আছে, বিভিন্ন কওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষার্থীরা দরিদ্র জীবন যাপন করলেও হেফাজতের শীর্ষ নেতারা কোটি কোটি টাকার মালিক।
এই কমিটির কাজ হবে হেফাজতের তহবিল সংগ্রহ ও খরচ করার প্রক্রিয়া অনুসন্ধান করা। হেফাজতের অর্থের খোঁজে এরই মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছে দুদক।
হেফাজতের সাবেক নেতা মামুনুলের মতো তাদের কেউ কেউ রাজধানীতে গাড়ি-বাড়ি ও একাধিক ফ্লাটের মালিক। আছে অনেক নেতারই অনেক টাকার ব্যাংক ব্যালেন্সও।
বিভিন্ন মাদ্রাসা, এতিমখানা ও ইসলামী প্রতিষ্ঠানের নামে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহ করে আসছিলো হেফাজতে ইসলাম।
অভিযোগ আছে ধর্মের নামে আদায় করা এসব তহবিল তারা নানা সময়ে সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে।
সেই সাথে এসব তহবিল আত্মসাতের মাধ্যমে নিজেরাও বিত্ত বৈভবের মালিক হয়েছে। এবার তাদের সেই সম্পদের অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক।
দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান জানান, তদন্তে হেফাজতের অর্থের উৎস, কোন কোন ক্ষেত্রে তহবিলের অর্থ ব্যবহার হয়েছে এসব তথ্য খতিয়ে দেখা হবে।
ইতিমধ্যে হেফাজতের শীর্ষ নেতাদের সম্পদের অনুসন্ধানে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ভূমি অফিসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে চিঠিও পাঠানো হয়েছে।
কমিশন বলছে, দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে যারা অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন তারা যত ক্ষমতাবানই হোক, ছাড় দেয়া হবে না।