Sunday, September 14, 2025
Homeজাতীয়অপরাধলাইকি ভিডিও শুটিংয়ের কথা বলে ডেকে নিয়ে গিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ

লাইকি ভিডিও শুটিংয়ের কথা বলে ডেকে নিয়ে গিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ

সিলেটের জাফলংয়ে গিয়ে লাইকি ভিডিও করার কথা বলে এক কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছেন ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর বাবা। এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

সোমবার (১৪ জুন) দুপুর আড়াইটায় সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। এরআগে গত ১৯ মে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায়। বর্তমানে তারা জগন্নাথপুর উপজেলা বসবাস করছেন। তার বাবা পেশায় একজন রিকশাচালক।

সংবাদ সম্মেলনে কিশোরীর বাবা বলেন, সম্প্রতি লাইকি অ্যাপে ভিডিও প্রকাশের মাধ্যমে সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরাণ থানার টিলাগড় এলাকার লিজা নামের এক মেয়ের সঙ্গে তার মেয়ের পরিচয় হয়। তার মাধ্যমে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাণীগাজী গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে জুবায়ের আহমদ ওরফে মি. ফান্নী আহমদের সঙ্গে ফোনে পরিচয় হয়। জুবায়ের বর্তমানে সিলেট নগরের শিবগঞ্জ লামাপাড়া এলাকার মোহিনী ৮৩/এ বাসায় তার বোনের সঙ্গে থাকেন। তারা ফোনে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। জুবায়ের মি. ফান্নী আহমদ নামে লাইকি অ্যাপ ব্যবহার করে বিভিন্ন ভিডিও প্রকাশ করতেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও উল্লেখ করেন, গত ১৭ মে তার মেয়ে বাসার মালিকের বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথ বেড়াতে যায়। সেখানে অবস্থান করাকালে ১৯ মে লিজা লাইকি ভিডিও করতে জাফলং বেড়াতে যাওয়ার কথা বলেন। সেখানে গিয়ে সবাই মিলে ভিডিও করবেন বলে জানান।

‘বিষয়টি মেয়ে আমাকে অবগত করলে আমি লিজার সঙ্গে কথা বলে তাকে জাফলং যাওয়ার অনুমতি দেই। এরপর লিজা আমার মেয়েকে বিশ্বনাথ উপজেলার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নিয়ে যান। সেখান থেকে লিজা তাকে সিলেট নগরের শিবগঞ্জ এলাকায় জুবায়েরের বাসায় নিয়ে যান। এসময় আমার মেয়ে ওই বাসায় যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে লিজা তাকে বলেন, এখানে একটু সময় বসতে হবে। সে বাসা থেকে কাপড় বদলে জাফলংয়ের উদ্দেশে যাত্রা শুরু হবে। তখন জুবায়ের আমার মেয়ে নাস্তা খেতে দেন।’

‘নাস্তা খাওয়ার পরপরই আমার অসুুস্থ হয়ে পড়ে। পরে জুবায়ের রাতভর তাকে ধর্ষণ ও মারধর করেন। পরদিন সকালে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে বিশ্বনাথে আমার এক আত্মীয়ের বাসাতে দিয়ে যান। এসময় জুবায়ের এই ঘটনা কাউকে না বলার জন্য হুমকি দিয়ে যান’, লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেন কিশোরীর বাবা।

এ ঘটনায় গত ২৬ মে সিলেটের শাহপরাণ থানায় অভিযোগ করেন কিশোরীর বাবা। পরে বিষয়টি তদন্ত ও সরেজমিনে তদন্ত করে ১ জুন মামলা রুজু হয়। বর্তমানে আসামিরা পলাতক।

এ বিষয়ে জাফলং থানার ওসি (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য বলেন, ‘আসামিদের গ্রেফতারে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে। দু’একদিনের মধ্যে তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।’

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments