Monday, September 15, 2025
Homeরাজধানীখালেদা জিয়ার ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে নাঃ খন্দকার মাহবুব হোসেন

খালেদা জিয়ার ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে নাঃ খন্দকার মাহবুব হোসেন

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, রাজনৈকি হীন উদ্দেশ্যে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো উচ্চ আদালতে মুলতবি রয়েছে। এ অবস্থায় তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না। তাই জাতীয় সংসদে আইনমন্ত্রীর এ বক্তব্য অত্যন্ত দুঃখজনক।

‘দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়া ছাড়া বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব নয়’ বলে আইনমন্ত্রী জাতীয় সংসদে যে বক্তব্য দিয়েছে তা দুঃখজনক উল্লেখ করে খন্দকার মাহবুব হোসেন বুধবার গণমাধ্যমে এ বক্তব্য দেন।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, যদি কোনো সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে মুক্ত করতে হয় তাহলে একমাত্র আইনের মাধ্যমেই করতে হবে। আরেকটা আছে রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন। তারা যদি বিবেচনা করেন তাহলে মুক্তি পেতে পারেন। ক্ষমা চাইতে গেলে অবশ্যই দোষ স্বীকার করতে হয়।

এর আগে বিএনপির দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ তার ছাঁটাই বক্তব্যে দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে অনুমতি দেয়ার দাবি করেন।

জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ওনারা কথায় কথায় বলেন খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠাতে। প্রথমে পরিবারের সদস্যরা তার জন্য দরখাস্ত করলেন। আমার দেখা দরখাস্তে এটা কোনো ধারায় ছিল না। ওনারা দরখাস্তের মধ্যে বলেছিলেন ওনাকে বিদেশ নিয়ে যেতে হবে। এটা ঠিক। আমরা (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ) যখন অনুমতি দিলাম প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় তখন দুটি শর্ত দিয়েছিলাম। একটা হচ্ছে তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন। আরেকটা হচ্ছে তিনি দেশে থেকে চিকিৎসা নেবেন। তিনি বলেন, এটাকে ৪০১ ধারার দরখাস্ত হিসেবে ট্রিট করে এই দুই শর্তে শাস্তি স্থগিত রেখে তাকে মুক্ত করে দিলাম। মুক্তি দেয়া হয়েছে। এটা তারা গ্রহণ করেছিল। গ্রহণ করে এটা কার্যকর করে জেলখানা থেকে বাসায় নিয়ে গিয়েছিল। একটা দরখাস্ত যখন গ্রহণ হয়ে যায়, সেই দরখাস্ত কি আবার পুনর্বিবেচনা করা যায়? ওনারা তো এই কথাটা বলেই ওনাকে মুক্ত করে এনেছেন। তারপর এখন বলেছেন বিদেশ যেতে চান, আবার দরখাস্ত। এটা কি রকম? ওই দরখাস্ত তো শেষ। ওই দরখাস্তের উপর তো কেউ কিছু করতে পারবে না। ৪০১-এর দরখাস্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এর পরে আর কোনো দরখাস্ত করা যায় না।

বিএনপির সংসদ সদস্যদের আইন পড়ার পরামর্শ দিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আইনটা পড়েন। আইনের ছয়টা সাব-সেকশন আছে। এর মধ্যে যদি কোথাও থাকে, আপনি আবার দরখাস্ত করতে পারবেন, আবার পুনর্বিবেচনা করতে পারবেন। তাহলে আমি আর আইন পেশায় থাকব না।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments