Tuesday, September 16, 2025
Homeসারাদেশখুলনাপিসিআর ল্যাবে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার জীবাণু, বন্ধ ঘোষণা

পিসিআর ল্যাবে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার জীবাণু, বন্ধ ঘোষণা

খুলনা মেডিক্যাল কলেজের (খুমেক) আরটি পিসিআর ল্যাবে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার জীবাণু। ল্যাব ‘দূষিত’ হওয়ায় বন্ধ রয়েছে করোনার নমুনা পরীক্ষা। ফলে চালু হওয়ার ১৫ মাসের মাথায় প্রথমবারের মতো বৃহস্পতিবার থেকে তিন দিনের জন্য বন্ধ থাকছে এই ল্যাব।

তবে খুমেক হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে যাদের নমুনা পরীক্ষার প্রয়োজন হবে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করা হবে।

খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা প্রতিরোধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিটির সভাপতি এবং খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মো. মেহেদী নেওয়াজ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘ল্যাবটি বন্ধ থাকলেও আগে থেকেই মজুত থাকা প্রায় দুই হাজার নমুনা ঢাকায় পাঠিয়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। বৃহস্পতিবার থেকে যেসব নমুনা সংগ্রহ করা হবে সেগুলোও এ ল্যাবে তিনদিনে পরীক্ষার সুযোগ থাকছে না। তবে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে অবস্থান করা রোগীদের মধ্যে যাদের পরীক্ষার প্রয়োজন হবে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) পিসিআর ল্যাব থেকে পরীক্ষা করা হবে।’

ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, ‘খুবিতে একদিনে মাত্র ৯৪টি নমুনা পরীক্ষার সুযোগ রয়েছে। খুলনা মেডিক্যাল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাব থেকে কিট, রি-এজেন্ট নিয়ে এখানকার জনবল গিয়েই খুবির ল্যাব থেকে শুধু পরীক্ষাগুলো করিয়ে আনবে। তা না হলে রোগীর ছাড়পত্র দেয়া যাবে না। আর করোনা হাসপাতাল থেকে রোগী ছাড়া না গেলে নতুন করে ভর্তিও করা যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা স্বাভাবিক রাখতে হলে প্রতি মাসে অন্তত একবার করে দূষণমুক্ত করা উচিত। কিন্তু খুমেকের পিসিআর ল্যাবটি গত বছর ৭ এপ্রিল থেকে চালুর পর কখনোই এমনটি করা হয়নি। কেননা একবার দূষণমুক্ত করতে হলে অন্তত দুদিন ল্যাব বন্ধ রাখতে হয়। এমনিতেই এ ল্যাবে প্রচুর চাপ ছিল। যে কারণে মাসে দুদিন বন্ধ রাখা অসম্ভব ছিল। কিন্তু গতকাল প্রায় সাড়ে ৫০০-এর মতো নমুনা পরীক্ষার সময় দেখা যায় সবগুলোই পজিটিভ। এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষার করে ল্যাবটি দূষিত হয়েছে বলে প্রমাণিত হয়েছে।’

বুধবার যেসব নমুনার পরীক্ষার ফলাফল দেওয়া সম্ভব হয়নি সেগুলোর জন্য আর নতুন করে নমুনা নেয়ার প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, ‘তাদের নমুনা যেহেতু রেখে দেয়া হয়েছিল সেহেতু পরবর্তীতে হয়তো ঢাকা থেকে করে আনা অথবা খুলনার ল্যাবটি পুনরায় চালু হলে পরীক্ষা করা হবে।’

তবে পিসিআর ল্যাব বন্ধ থাকলেও খুলনাসহ জেলার অন্যান্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে এন্টিজেন পরীক্ষা যথারীতি চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments