Monday, September 15, 2025
Homeখেলাধুলাঅপ্রতিরোধ্য ব্রাজিল নেইমার জাদুতে ফাইনালে

অপ্রতিরোধ্য ব্রাজিল নেইমার জাদুতে ফাইনালে

নেইমার-জাদুতে পেরুকে হারিয়ে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ব্রাজিল। একইসঙ্গে নিজেদের ফাইনাল টিকিটটা কনফার্ম করে ফেলেছে তিতের দল। রিও দে জেনেইরোর নিল্তন সান্তোস স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার ভোরে সেমিফাইনালে ১-০ গোলে জিতেছে দলটি। নেইমারের সাজিয়ে দেওয়া বলে গোলটি করেন লুকাস পাকুয়েতা।

আক্রমণাত্মক ফুটবলের পসরা সাজিয়ে প্রথমার্ধেই এগিয়ে যায় ব্রাজিল। দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ লড়াই করে পেরু। কিন্তু স্বাগতিকদের জমাট রক্ষণ ভাঙতে পারেনি গত আসরের রানার্সআপরা। তাদের আবার হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে সেলেকাওরা।

লুকাস পাকুয়েতা; টানা দ্বিতীয় ম্যাচে গত আসরের চ্যাম্পিয়নদের জয়ের নায়ক এ মিডফিল্ডার। শেষ আটে তার গোলেই ব্রাজিল পেরিয়েছিল চিলির বাধা।আক্রমণাত্মক শুরু করা স্বাগতিকরা অষ্টম মিনিটে পায় প্রথম ভালো সুযোগ। ডি-বক্সে পাকুয়েতার চমৎকার পাস ধরে রিশার্লিসন খুঁজে নেন নেইমারকে।

পিএসজি ফরোয়ার্ডের শট একটুর জন্য লক্ষ্যে থাকেনি।

পাঁচ মিনিট পর বুলেট গতির ফ্রি-কিকে চেষ্টা করেন কাসেমিরো। সোজা আসা বল ঠিক মতো গ্লাভসে জমাতে পারেননি গোলরক্ষক। ফিরতি বলে সুযোগ নিতে পারেননি এভেরতন।

১৯তম মিনিটে আবার দূরপাল্লার শটে চেষ্টা করেন কাসেমিরো। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক। পরমুহূর্তে রিয়াল মাদ্রিদের এ মিডফিল্ডারের দারুণ ফ্লিকে বল ধরে পাকুয়েতা বাড়ান ছয় গজ বক্সের মুখে; ওখানে নেইমারের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকানোর পর রিশার্লিসনের ফিরতি শটও রুখে দেন গোলরক্ষক।

৩৫তম মিনিটে ব্রাজিলকে আর ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি পেরু। মাঝ মাঠ থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকে যান নেইমার। পায়ের কারিকুরিতে সঙ্গে লেগে থাকা তিন খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে খুঁজে নেন অরক্ষিত পাকুয়েতাকে। বাকিটা অনায়াসে সেরে নেন তিনি।

কোয়ার্টার ফাইনালেও দলের একমাত্র গোলটি করেছিলেন অলিম্পিক লিওঁর এ মিডফিল্ডার।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আক্রমণে মনোযোগ দেয় পেরু। প্রতি আক্রমণের পথ বেছে নেয় ব্রাজিল। ৫০তম মিনিটে সমতা ফেরানোর ভালো একটা সুযোগ পায় পেরু। কিন্তু এদেরসন ছিলেন পোস্টের নিচে বিশ্বস্ত দেয়াল হয়ে।

নিজেদের অর্ধ থেকে ইয়োশিমার ইয়োতুনের বাড়ানো বল ধরে ডি বক্স থেকে শট নেন জানলুকা লাপাদুলা। ঝাঁপিয়ে কোনোমতে ফেরান এদেরসন। ফিরতি বল ক্লিয়ার করেন ব্রাজিলের এক খেলোয়াড়।

৬১তম মিনিটে দূরপাল্লার শটে এদেরসনের পরীক্ষা নেন রাসিয়েল গার্সিয়া। ঝাঁপিয়ে পড়ে এবারও জাল অক্ষত রাখেন ম্যানচেস্টার সিটি গোলরক্ষক।

প্রতি আক্রমণ থেকে ভীতি ছড়াচ্ছিল ব্রাজিল। কিন্তু সেভাবে পেরু গোলরক্ষকের পরীক্ষা নিতে পারছিল না।

৮১তম মিনিটে সমতা ফেরানোর আরেকটি সুযোগ হাতছাড়া করে পেরু। ইয়োতুনের ফ্রি কিকে সবার উঁচুতে লাফিয়ে হেড করেন আলেকসান্দার কায়েন্স। কিন্তু বল ছিল না লক্ষ্যে। বেঁচে যায় ব্রাজিল।

এ নিয়ে ২১ বার কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠল ব্রাজিল। এবার ফাইনালে তারা খেলবে আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ার মধ্যে বিজয়ীর সঙ্গে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments