Sunday, September 14, 2025
Homeজাতীয়সকল ধরনের গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত

সকল ধরনের গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত

রোববার (১ আগস্ট) দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে সকল ধরনের গণপরিবহন চলবে বলে জানিয়েছেন তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান।

শনিবার (৩১ জুলাই) রাতে সংবাদমাধ্যমকে তিনি এ কথা জানান।

তিনি জানান, রপ্তানীমুখী শিল্পকারখানার কর্মীদের কর্মস্থলে ফেরার সুবিধার্থে রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সকল গণপরিবহন চলাচল শিথিল করেছে সরকার।
এর আগে সন্ধ্যায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক সংবাদমাধ্যমকে জানান, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সব জেলা এবং শিমুলিয়া-বাংলাবাজার এবং দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে রোববার (১ আগস্ট) দুপুর ১২টা পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল করবে।

এদিকে করোনা সংক্রমণে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই রোববার (১ আগস্ট) থেকে চালু হচ্ছে পোশাক কারখানা। এ ঘোষণায় গ্রামে আটকা পড়া শ্রমিকরা যে যেভাবে পারছেন ঢাকাসহ শিল্পাঞ্চলে ছুটছেন। তাদের সীমাহীন দুর্ভোগ নিয়ে পোশাক কারখানা মালিকদের সমালোচনা যখন চরমে, এমন সময়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

এদিন সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমে সংগঠনটির সভাপতির পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সভাপতি ফারুক হাসান জানান, রপ্তানিমুখী শিল্পের সার্বিক দিক বিবেচনা করে সরকার আগামী ১ আগস্ট থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা লকডাউনের আওতাবহির্ভূত রাখার জন্য গত ৩০ জুলাই প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

এ সিদ্ধান্তে প্রধানমন্ত্রী এবং সরকারের কাছে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, এই করোনা ক্রান্তিকালে রপ্তানিমুখী শিল্পের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে এবং দেশ ও অর্থনীতি এবং জীবন ও জীবিকা দুটোই সমন্বয়ের স্বার্থে সব রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। তবে কারখানা পরিচালনার ক্ষেত্রে সরকার ঘোষিত এবং বিজিএমইএ প্রদত্ত সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সদস্যদের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

তিনি আরও জানান, লকডাউন পুরোপুরি প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত গ্রামে অবস্থানরত কোনো শ্রমিক-কর্মচারী কারখানায় কাজে যোগদান করতে না পারলে তাদের ওপর কোনো প্রকার ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। এ সময়ে কারখানার আশপাশে অবস্থানরত শ্রমিকদের নিয়ে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য আহ্বান করছি।

এছাড়া, পোশাক শিল্পে কর্মরত সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের জন্য করোনার টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু করায় সরকারের প্রতি বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আবারও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি।

বিজিএমইএ সভাপতি মনে করেন, রপ্তানি বাণিজ্যে গতি ধরে রাখতে শ্রমিকদের শতভাগ টিকার আওতায় আনা অত্যন্ত জরুরি। শ্রমিকদের নিরাপত্তায় করোনার টিকার ব্যাপারে সহায়তা চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ক্রেতা প্রতিষ্ঠানকেও আহ্বান করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments