Sunday, September 14, 2025
Homeজাতীয়অপরাধসাজানো ডাকাতি মামলার আড়ালে পরিকল্পিত খুন

সাজানো ডাকাতি মামলার আড়ালে পরিকল্পিত খুন

পুরান ঢাকার চকবাজারের কমলদাহ রোডে গত শনিবার রাতে একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছিল। পুলিশ বলেছিল, ছিনতাই করে পালানোর সময়ে গাড়িচাপায় মো. জয় নামের এক ছিনতাইকারী নিহত হয়। ‘ছিনতাইয়ের শিকার’ রিয়াজ উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলাও করেন। তাতেও বলা হয়, জয় টাকা ছিনতাই করে রাস্তা পার হয়ে পালানোর সময়ে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় মারা যায়।

কিন্তু সমকালের কাছে থাকা ঘটনাস্থলের একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি জয়কে গাড়ির নিচে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ধাক্কা দেওয়া ওই ব্যক্তি হচ্ছেন মামলার বাদী রিয়াজ উদ্দিন!

৭ আগস্ট শনিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ওই ঘটনার পর মধ্যরাতে নিহত মো. জয় ছাড়াও আরও পাঁচজনকে আসামি করে চকবাজার থানায় এজাহার দিয়েছিলেন রিয়াজ। আসামির সংখ্যা পাঁচজনের বেশি হওয়ায় পুলিশ সেটি ডাকাতি মামলা হিসেবে দায়ের করে।

মামলার আসামিরা হলো- নিহত মো. জয়, হাসিব হোসেন ওরফে আকিব, আরাফাত হোসেন পিয়াস, তাসিন, রজ্জব ও জিহাদ। তাদের মধ্যে আকিব ও আরাফাতকে ‘জনতার সহায়তায়’ ঘটনাস্থল থেকেই হাতেনাতে ধরার দাবি করে পুলিশ।

ছয়জনের মধ্যে তিনজনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জয়, আকিব ও জিহাদ বয়সে শিশু। তাদের বয়স ১৪ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। আকিব স্থানীয় নবকুমার ইনস্টিটিউশনে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। কিন্তু মামলায় প্রত্যেকের বয়স ১৮ বছরের বেশি উল্লেখ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী পুলিশ পিয়াসকে দু’দিনের রিমান্ডে নেয়। আকিবকে দিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও আদায় করে। অপর তিনজনকে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলেও তা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।

নিহতের স্বজনরা দাবি করছেন, জয়কে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সেটি আড়াল করতেই ছিনতাই নাটক ও সাজানো ডাকাতির মামলা দেওয়া হয়েছে। পরিবারের সদস্য ছাড়াও গতকাল ওই এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা জানা যায়, মামলার আসামি হিসেবে যাদের নাম এসেছে, তারা কেউই ডাকাত বা ছিনতাইকারী নয়। বন্ধুদের নিয়ে পাড়ার গলিতে আড্ডা দিলেও এ ধরনের অভিযোগ আগে কেউ শোনেননি। উল্টো বাদী রিয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধেই রয়েছে নানা অভিযোগ।

সিসিটিভি ফুটেজেও ছিনতাই বা ডাকাতি করে পালানোর দৃশ্য মেলেনি। সেখানে জয়কে ধাক্কা দিয়ে গাড়ির নিচে ফেলার দৃশ্য স্পষ্টই বোঝা যায়।

কী হয়েছিল সেই রাতে :প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ৭ আগস্ট শনিবার সন্ধ্যা থেকেই জয়সহ কয়েকজন আইজি প্রিজন্স অফিসের পেছনের গলিতে আড্ডা দিচ্ছিল। রাত সাড়ে ৮টায় সেখানে চিৎকার শুনে অনেকেই অদূরে উর্দু রোডে জনতা ব্যাংকের নিচে ছুটে যায়। তখন এক কিশোরকে সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। শুরুর দিকে সবাই বলাবলি করছিল, গাড়িচাপায় একজন মারা গেছে। পরে তাদের অনেকে জানতে পারেন, ছিনতাই হয়েছে।ঘটনাস্থলের অদূরেই ফুটপাতে চায়ের দোকানি মো. ইকবাল গতকাল সমকালকে বলেন, গলির ভেতর নানা ছেলেরা আড্ডা দেয়। যে ছেলেটা মারা গেছে, সে নিয়মিতই আড্ডা দিত। তবে কখনও ছিনতাই করতে দেখিনি, শুনিওনি।

পুলিশ ও বাদীর দেওয়া ঘটনাস্থল ও সময়ের তথ্য অনুযায়ী সিসিটিভি ফুটেজে একটি শিশু কোলে নিয়ে এক ব্যক্তিকে হেঁটে যেতে দেখা যায়। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে তার পরিচয় শনাক্ত করে সমকাল। আবদুর রশিদ নামের ওই ব্যক্তি বলেন, তিনি রক্তাক্ত একটি ছেলেকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন। ছিনতাইয়ের বিষয়টি তিনি দেখেননি। পরে ছিনতাইয়ের কথা শুনেছেন।

ঘটনাস্থলের পাশেই ওমেক্স নামে একটি পার্সেল সার্ভিসের অফিস রয়েছে। ওই অফিসের কর্মী আজহার উদ্দিন বলছিলেন, লোকজন দৌড়াদৌড়ি করছিল। চিৎকার শুনে বের হন। তখন দেখেন, একজনকে মারধর করা হচ্ছে। এটা দেখে তিনি ভেতরে চলে যান।

\দুর্ঘটনার খবরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ধরা পড়ে আকিব :আকিবের বাবা রফিকুল ইসলাম পান্নু সমকালকে বলেন, আকিব ও জয় সম্পর্কে খালাতো ভাই। ঘটনার সময় তার ছেলে উর্দু রোডের গলির ভেতরই ছিল। জয়কে গাড়িতে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে- এমন খবরে সে জনতা ব্যাংকের নিচে যায়। তখন জয়কে রক্তাক্ত অবস্থায় সে তোলার চেষ্টা করে। লোকজন বলছিল, রিয়াজ উদ্দিন তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলেছে। তখন ঘটনাস্থলে রিয়াজের সঙ্গে এর প্রতিবাদও করে সে। তখনই পুলিশ এসে আকিবসহ তার অন্য এক বন্ধুকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর থানায় নির্যাতন চালানো হয়। সিসিটিভি ফুটেজেও রফিকুলের বক্তব্যের সত্যতা পাওয়া যায়। এতে দেখা যায়, রাস্তায় পড়ে থাকা একজনকে হাত ধরে টানছে কেউ। সেটি দেখে স্থানীয় লোকজন বলছিলেন, জয়ের হাত ধরে টেনে ওঠানোর চেষ্টা করা ছেলেটিই আকিব।পরিকল্পিত হত্যা’ :মামলার এজাহারে নিহত ব্যক্তির নাম জয় বলা হলেও পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তার পুরো নাম শান্ত সজিব জয়। বয়স ১৬ বছর। সে একটি মাদ্রাসায় পড়ালেখা করেছে। তবে দুই বছর ধরে ইসলামবাগে একটি প্লাস্টিকের কারখানায় কাজ করত। লকডাউনের কারণে কারখানা বন্ধ ছিল।

জয়ের মা মারা গেছেন অনেক আগেই। সে সৎমা ও খালাদের কাছে বড় হচ্ছিল। জয়ের বাবা মো. জুম্মন দাবি করেন, তার ছেলেকে রিয়াজ উদ্দিন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। এটা সিসিটিভি ফুটেজেও দেখা গেছে।

কেন তার ছেলেকে হত্যা করবে? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, রিয়াজ উদ্দিন নিজেই চুরি-ছিনতাই করে। হয়তো তার ছেলে বা বন্ধুরা তা দেখে ফেলেছিল। এ জন্যই তার ছেলেকে ছিনতাইকারী বানিয়ে গাড়ির নিচে ফেলে মারা হয়েছে। রিয়াজ উদ্দিনকে পুলিশ ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সব বের হবে।

জয়ের খালা হাসিনা বেগম বলেন, ঘটনার সময় রিয়াজ উদ্দিনের সঙ্গে পুলিশের ফর্মা মো. রাব্বিও ছিল। এ দু’জনই পুলিশের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ডাকাতির মামলা করিয়েছে। পুলিশও যাচাই না করে ডাকাতির মামলা নিয়ে নিষ্পাপ কয়েকজনকে ধরেছে।

বয়স বাড়িয়ে রিমান্ড-স্বীকারোক্তি :মামলার এজাহারে থাকা দুই নম্বর আসামি হাসিব হোসেন আকিব। তার জন্মসনদ ও স্কুলের সনদ সংগ্রহ করে সমকাল। তাতে দেখা যায়, তার নাম মো. আকিব হোসেন। জন্মসনদ ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার প্রবেশপত্র অনুযায়ী তার জন্ম ২০০৬ সালের ১৪ আগস্ট। সে অনুযায়ী তার বয়স ১৫ বছর।

জিহাদের স্বজনরাও বলছেন, তার বয়স ১৬ বছরের বেশি হবে না। কিন্তু পুলিশ সবাইকে প্রাপ্তবয়স্ক দেখিয়ে গ্রেপ্তার করেছে, রিমান্ডেরও আবেদন করেছে।

আকিবের বাবা বলেন, তার ছেলেকে থানায় অকথ্য নির্যাতন করা হয়। ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়। ছোট ছেলে, পুলিশ যা শিখিয়ে দিয়েছে, তাই বলেছে।

আকিবের এক স্বজন বলেন, কারাগারে নেওয়ার পর তারা বৈধভাবেই ফোনে আকিবের সঙ্গে কথা বলতে পেরেছিলেন। সে তার ওপর নির্যাতনের কথা তাদের জানিয়েছে। বলেছে, ডাকাতির কথা স্বীকার না করলে পুলিশ তাদের মেরে ফেলার কথা বলেছিল।আকিবের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নবকুমার ইনস্টিটিউশনেও যোগাযোগ করে সমকাল। তবে করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষকদের কাউকে পাওয়া যায়নি। অবশ্য প্রতিষ্ঠানটির একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফোনে জানিয়েছেন, আকিব তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছিল।
আসামি জিহাদের ফুপু রোবিনা সাঈদ বলেন, জিহাদের বাবা-মা মারা গেছে ছোট বেলাতেই। তার বয়স ১৬ বছরের বেশি হবে না। চকবাজারে তাদের বাসা হলেও জিহাদ তার হাজারীবাগের বাসায় বড় হয়। তাকে সেখানে একটি মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়। বছরখানেক ধরে তাকে নিউমার্কেটের একটি দোকানে কাজে দেওয়া হয়। তবে শুক্র ও শনিবার সে চকবাজার এলাকায় দাদার বাড়িতে যায়।

তিনি বলেন, তার ভাতিজা সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। তখন পুলিশ তাকে ধরে নেয়। যাকে পেয়েছে, তাকেই ধরেছে। ওই রাতে তিনি খবর পেয়ে থানায় যান। পুলিশের দাবি অনুযায়ী চার হাজার টাকাও দেন; কিন্তু তার ভাগ্নেকে ছাড়েনি। এখন শুনি ডাকাতই বানিয়ে দিয়েছে!

২০১৩ সালের শিশু আইন অনুযায়ী, অনূর্ধ্ব-১৮ বছর বয়স পর্যন্ত সকল ব্যক্তি শিশু হিসেবে গণ্য হবে। আইনের সংস্পর্শে আসা শিশু বা আইনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িত শিশুকে থানায় নেওয়া হলে, আটক বা গ্রেপ্তার করা হলে অবশ্যই প্রবেশন কর্মকর্তাকে অবহিত করতে হবে। তাকে থানার শিশু ডেস্কের কর্মকর্তা দেখভাল করবেন। তা ছাড়া শিশুকে শিশু আদালতেই উপস্থাপন করতে হবে। পাশাপাশি তাদের কিশোর সংশোধনাগারে থাকার কথা। কিন্তু গ্রেপ্তার পাঁচজনই কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছে।

জানতে চাইলে ওই ঘটনায় দায়ের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, এজাহার অনুযায়ী আসামিরা শিশু নয়। তাদের বয়স এজাহারে উল্লেখ রয়েছে। সে অনুযায়ীই তিনি ব্যবস্থা নিয়েছেন।কেউ এজাহারে কোনো বয়স লিখে দিলেই পুলিশ যাচাই ছাড়া শিশু-কিশোরদের প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে নিতে পারে কি-না- জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘তারা (আসামিরা) শিশু-কিশোর হলে তা আদালতে প্রমাণ হবে।’

অবশ্য চিলড্রেন চ্যারিটি অব বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আবদুল হালিম সমকালকে বলেন, শিশুদের বয়স লুকিয়ে পুলিশ আইনবহির্ভূত কাজ করেছে। কেউ অভিযোগ দিলেই তো শেষ কথা নয়, এখানে অবশ্যই পুলিশের যাচাইয়ের বিষয় রয়েছে। এখানে আইন অনুযায়ী শিশুদের অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে।

রিয়াজ উদ্দিন যা বললেন :গতকাল রিয়াজ উদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি দাবি করেন, স্থানীয় একটি মার্কেটে তিনি কেয়ারটেকারের কাজ করেন। ওই দিন ১২ হাজার টাকা বেতন পেয়ে তা বাসায় নিচ্ছিলেন। উর্দু রোডের জনতা ব্যাংকের নিচে আলো দেখে টাকা গুনছিলেন। তখন ছিনতাইকারীরা তাকে মারধর করে তিন হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। দৌড়ে পালানোর সময় একজন গাড়ির ধাক্কায় মারা যায়। তখন পুলিশ এলে সবাই মিলে দু’জনকে ধরে ফেলে।

জয়কে গাড়ির নিচে ফেলতে দেখা যায়- এমন প্রশ্নে তার দাবি, সে দৌড়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় ধাক্কা খেয়েছে।

বাদী ছিনতাইকারীদের কাউকে চিনতেন না দাবি করলেও তার মামলায় সব আসামির নাম-ঠিকানা রয়েছে। এমনটা কীভাবে হলো- জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশ তো এজাহার তৈরি করেছে। সে তাতে স্বাক্ষর করেছে।

পুলিশ যা বলছে :চকবাজার থানার ওসি আবদুল কাইউমের সঙ্গে গতকাল দুপুরে তার কার্যালয়ে কথা হয়। তিনি দাবি করেন, এটি স্রেফ ছিনতাই ও ডাকাতি। সিসিটিভি ফুটেজেও তা দেখা গেছে। আসামিদের একজন স্বীকারোক্তি দিয়েছে, ছিনতাই হওয়া টাকা উদ্ধার হয়েছে। ধারালো অস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে।

তবে সিসিটিভি ফুটেজে বাদীকে দেখা যাচ্ছে একজনকে ধাক্কা দিয়ে গাড়ির ওপর ফেলছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা ঠিক নয়’। আসামিদের বয়স বাড়ানোর বিষয়ে ওসির দাবি, এজাহারে বয়স বাদী উল্লেখ করেছেন।

গত শনিবার ঘটনার পর চকবাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন জানিয়েছিলেন, নিহত ‘ছিনতাইকারীর’ বিরুদ্ধে থানায় আগেই ছিনতাইয়ের একটি মামলা রয়েছে। তবে গতকাল সমকালের পক্ষ থেকে যাচাই করে জানা গেছে, গত ২৮ রোজায় এলাকায় বন্ধুদের সঙ্গে মারামারি করে একটি মামলার আসামি ছিল জয়। তার বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের কোনো মামলা নেই।এদিকে, পুরোনো জেলখানার পশ্চিম পাশের ওই ঘটনাস্থলটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে পড়েছে। যারা গ্রেপ্তার হয়েছে, তাদের প্রায় সবাই ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা। জানতে চাইলে ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন কাবুল সমকালকে বলেন, ছিনতাই করে পালানোর সময় একজন মারা গেছে বলে তিনি শুনেছেন। তবে সে যে কিশোর বয়সী এবং গ্রেপ্তার কয়েকজনের বয়সও কম, তা তিনি জানতেন না। এসব ছেলের বিরুদ্ধে আগে কোনো অভিযোগ পেয়েছিলেন বলেও তার মনে পড়ে না। ভুক্তভোগী কেউ তার কাছে এলে তিনি বিষয়টি দেখবেন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments