Saturday, September 13, 2025
Homeরাজশাহীরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়রাবি'তে হলের ৫ কক্ষে শিক্ষার্থীদের রেখেই তালা দিলো ছাত্রলীগ

রাবি’তে হলের ৫ কক্ষে শিক্ষার্থীদের রেখেই তালা দিলো ছাত্রলীগ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ জিয়াউর রহমান হলে শিক্ষার্থীদের ভেতরে রেখেই কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। পরে শিক্ষার্থীরা হলের সামনেই আন্দোলন শুরু করেন।

জানা গেছে, তালা ঝুলানো শিক্ষার্থীর নাম সাইদ বিন একরাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ রাবি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ও জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী। তবে সাইদ বিন ছাত্রলীগকর্মী নয় বলে দাবি শাখা ছাত্রলীগের।

হল সূত্রে জানা যায়, দুপুর ১২টার দিকে হলের ২১৯ থেকে ২২৩ কক্ষে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেয় সাইদ বিন একরাম। পরে কক্ষের ভেতরে থাকা শিক্ষার্থীরা চিৎকার শুরু করলে হল প্রশাসন এসে তালা ভেঙে তাদেরকে বের করে। এ সময় ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা হল গেইটে আন্দোলন শুরু করে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল কর্তৃপক্ষ এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললে আন্দোলন স্থগিত করা হয়।

আন্দেলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হলে সিট বাণিজ্য ছাত্রলীগের নতুন নয়। করোনার দীর্ঘ ছুটির পর তারা প্রায় প্রত্যেকটি হলকে নিজের সম্পত্তি বানিয়ে ফেলছে। যখন-তখন শিক্ষার্থীদেরকে হল থেকে বের করে দিচ্ছে, টাকার বিনিময়ে সিট বিক্রি করছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবরের মতোই রয়েছে নীরব দর্শকের ভূমিকায়।

তালা ঝুলানোর পর ২২২ নম্বর রুমে আটকে পরা ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান বলেন, ‘আমি তখন পড়ছিলাম। বাহির থেকে দরজা নাড়ানোর শব্দ হচ্ছিল। পরে দরজা খোলার চেষ্টা করে দেখি বাইরে থেকে তালা লাগানো।’

তালা ঝুলানো সাইদ বিন একরাম বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের রাজনীতি করি। হলের সিটের জন্য বলেছিলাম। হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা বলেছিল ২২০ নাম্বার রুম আমাকে দিবে। কিন্তু দেয়নি। তারা সিট বিক্রি করে দিয়েছে বলে শুনেছি। আমার মতো অনেকেই এরকম সিট বঞ্চিত হয়েছে। তাই আমরা প্রতিবাদ জানিয়ে তালা দিয়েছি।’

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, হলের রুমে কে বা কারা তালা লাগিয়ে ছিল সে ছাত্রলীগের রাজনীতি করে কিনা আমারা জানা নেই।

হল প্রাধ্যক্ষ ড. সুজন সেন বলেন, শিক্ষার্থীদের রুমের ভেতরে রেখে তালা দেওয়া অবশ্যই একটি নিকৃষ্টতম কাজ। আমরা ইতিমধ্যে প্রক্টরিয়াল বডিকে বিষয়টি জানিয়েছি। কে বা কারা তালা দিয়েছে তাদের বিষয়েও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৭ অক্টোবর ক্যাম্পাস খোলার পর থেকে আবাসিক হল থেকে শিক্ষার্থীদের বের করে দেওয়া, দরজার কড়া কেটে সিট দখলের চেষ্টার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এসব ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিংবা শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে ছাত্রলীগের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments