Monday, September 15, 2025
Homeজাতীয়অপরাধসুতার সূত্র ধরে অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর 'খুনি' শনাক্ত

সুতার সূত্র ধরে অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর ‘খুনি’ শনাক্ত

নোবেল পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, শিমুকে গলা টিপে হত্যার পর ফরহাদকে ফোনে ডেকে আনেন। পরে দুইজনে পরিকল্পনা করে বাইরে থেকে বস্তা আনেন। শিমুর মরদেহ লম্বালম্বিভাবে দুটি পাটের বস্তায় ভরে প্লাস্টিকের সুতা দিয়ে সেলাই করেন। এরপর বাড়ির দারোয়ানকে নাস্তা আনতে বাইরে পাঠিয়ে নিজের ব্যক্তিগত গাড়ির পেছনের আসনে করে মরদেহ নিয়ে বেরিয়ে যান নোবেল। রাইমা ইসলাম শিমুর মরদেহ উদ্ধারের সময় বস্তা দুটি প্লাস্টিকের সুতা দিয়ে সেলাই করা ছিল। সেই সুতার সূত্র ধরেই তার ‘খুনিদের’ শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মরদেহ উদ্ধারের পর শিমুর বাসায় গিয়ে একটি গাড়ি দেখতে পায় পুলিশ। সেটিতে প্লাস্টিকের এক ধরনের সুতা দেখতে পায় তারা। যা কিনা মরদেহের বস্তায়ও সেলাই করা ছিল। মিলিয়ে দেখা যায়, সুতা দুটি একই রকমের।

এরপরই শিমুর স্বামী শাখাওয়াত আলীম নোবেল ও তার বাল্যবন্ধু এসএম ওয়াই আব্দুল্লাহ ফরহাদকে জিজ্ঞাসাবাদে আনে পুলিশ। এবং পরে সাক্ষ্যপ্রমাণ ও প্রাথমিকভাবে তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, মরদেহ উদ্ধারের পর তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে নিহত নারীর পরিচয় শনাক্ত করা হয়। এরপর ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করে অভিনেত্রী শিমুর গ্রিনরোডের বাসা যায় পুলিশ।

তিনি বলেন, মরদেহ গুম করতে দুটো বস্তা যে প্লাস্টিকের সুতা দিয়ে সেলাই করা হয়েছিল, সেই সুতারই হুবহু এক বান্ডিল শিমুর স্বামী নোবেলের গাড়িতে পাওয়া যায়। এছাড়া গাড়িটি ধোয়া ছিল এবং দুর্গন্ধ দূর করতে ব্লিচিং পাউডার ছিটানো ছিল। এতেই সন্দেহ হয়।

পরে তাৎক্ষণিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোবেলকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এ হত্যার কথা স্বীকার করেন, যোগ করেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।

জানা গেছে, নোবেল পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, শিমুকে গলা টিপে হত্যার পর ফরহাদকে ফোনে ডেকে আনেন। পরে দুইজনে পরিকল্পনা করে বাইরে থেকে বস্তা আনেন। শিমুর মরদেহ লম্বালম্বিভাবে দুটি পাটের বস্তায় ভরে প্লাস্টিকের সুতা দিয়ে সেলাই করেন। এরপর বাড়ির দারোয়ানকে নাস্তা আনতে বাইরে পাঠিয়ে নিজের ব্যক্তিগত গাড়ির পেছনের আসনে করে মরদেহ নিয়ে বেরিয়ে যান নোবেল।

গ্রেপ্তার ফরহাদ জানিয়েছেন, প্রথমে তারা গাড়িটি নিয়ে মিরপুরের দিকে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে মরদেহ ফেলার উপযুক্ত পরিবেশ না পেয়ে তারা আবার বাসায় ফেরেন। রোববার সন্ধ্যায় আবার তারা লাশ গুম করতে মোহাম্মদপুর ও বছিলা ব্রিজ এলাকায় ঘুরতে থাকেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে কেরানীগঞ্জের আলীপুর ব্রিজের কাছে গিয়ে সুযোগ বুঝে বস্তাটি ফেলে দেন তারা।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments