বাংলাদেশে মার্চে সড়ক দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন ঘটনায় প্রায় ২৪৮ জন নিহত হয়েছেন। দেশে একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রানহানির এই তথ্য বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের (বিএইচআরসি) এক প্রতিবেদনে প্রকাশ হয়েছে।
প্রতিবেদন দৃষ্টে, বর্তমানে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের চাইতেও অধিক শক্তিশালী, মারাত্মক ও ভয়ঙ্কর রুপ ধারণ করেছে।
বিএইচআরসি শনিবার তার জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ইউনিট থেকে সংগৃহীত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তুলনামূলক তথ্য প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃত ২৪৮ জনের মধ্যে ১৬৬ জন বিভিন্ন পরিবহন দুর্ঘটনায়, ৩৫ জন অজ্ঞাত কারণে, ১৮ জন পারিবারিক সহিংসতায়, চারজন সামাজিক সহিংসতায়, চারজন আততায়ীর দ্বারা, দু’জন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের দ্বারা, দু’জন অপহরণকারীর দ্বারা এবং একজন ভারতীয় সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী (বিএসএফ) এর হাতে এবং ১৩ জন আত্মহত্যা করে মারা যান।
প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মার্চ মাসে গড়ে প্রতিদিন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিনজন মারা গেছে। অন্যদিকে গড়ে প্রতিদিন আটজন হত্যাকাণ্ডে মারা গেছেন। অর্থাৎ, মহামারী করোনাভাইরাসের চাইতেও বড় মহামারী সড়ক দুর্ঘটনা, হত্যাকান্ড।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনের (আইএইচআরসি) সহায়তায় বিএইচআরসি ডকুমেন্টেশন বিভাগের সম্পাদিত এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে মার্চ মাসে ১২টি ধর্ষণ এবং দুটি অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
বিএইচআরসি পরামর্শ দিয়েছে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই দেশে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড কমানো সম্ভব।
এতে বলা হয়েছে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে এবং মানবাধিকারের মূল্য দেয় এমন একটি সমাজ গঠনের জন্য সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য।
সূত্র : ইউএনবি