টিপ পরা নিয়ে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় এক শিক্ষককে কটূক্তির অভিযোগে কনস্টেবল নাজমুল তারেকের বিরুদ্ধে শিক্ষিকা লতা সমাদ্দার একটি জিডি করেন।
কটূক্তির অভিযোগে কনস্টেবল নাজমুল তারেককে সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড) করা হয়েছে। পাশাপাশি এ ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শিক্ষিকা লতা সমাদ্দারকে হেনস্থা করা পুলিশ সদস্য নাজমুল তারেকের মোটরসাইকেলটি ‘চোরাই’ বলে যে শোর উঠেছিল ফেসবুকে, তা নাকচ করে দিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মোটরসাইকেলটি বৈধ।
শেরেবাংলা নগর থানার ওসি উৎপল বড়ুয়া গনমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শিক্ষিকা লতা সমাদ্দার তার জিডিতে সেই পুলিশ সদস্যের ব্যবহার করা মোটরসাইকেলের নম্বর (১৩৩৯৭০) উল্লেখ করেছিলেন। এরপর পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, ওই নম্বরের ঢাকা মেট্রো ‘হ’ সিরিয়ালের মোটরসাইকেলের মালিক মিরপুরের বাসিন্দা।
তার কাছে গেলে তিনি জানান, সেটি অনেক আগেই চুরি হয়েছে। এর জিডি কপিও দেখান তিনি। এরপরই সন্দেহের সৃষ্টি হয়, তাহলে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য চোরাই মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন কি-না?
শেরেবাংলা নগর থানার ওসি উৎপল বড়ূয়া গনমাধ্যমকে বলেন, অভিযোগকারী মোটরসাইকেলের পুরো নম্বরটি দিতে পারেননি। তখন তারা বিআরটিএর সহায়তায় জানা যায়, ওই নম্বরের ঢাকা মেট্রো ‘হ’ সিরিয়ালের মোটরসাইকেলের মালিকের বাসা মিরপুর। সেখানে গিয়ে বর্ণনা অনুযায়ী অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।
তবে সারাদেশে জিডিতে উল্লেখিত নম্বর ধরে যাচাই করলে নিশ্চিত হওয়া যায়, প্রতিটি জেলা ও মহানগরে মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশনে একই ধরনের দুইটি নম্বর থাকতে পারে। ১০০ সিসির উপরে ‘ল’ এবং নিচে ‘হ’ সিরিয়ালে এই নিবন্ধন হয়। শেষ পর্যন্ত অভিযুক্ত কনস্টেবলকে শনাক্তের পর দেখা যায়, যশোর ল ১৩-৩৯৭০ নম্বর মোটরসাইকেলে ছিলেন তিনি। সেটি তার নামেই নিবন্ধন করা।
টিপ পরা নিয়ে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় এক শিক্ষককে কটূক্তির অভিযোগে কনস্টেবল নাজমুল তারেককে সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড) করা হয়েছে। পাশাপাশি এ ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে