Saturday, September 13, 2025
Homeআন্তর্জাতিকরাশিয়ার ‘বন্ধু’ দেশকে ‘গোপনে’ এইচকিউ-২২ মিসাইল দিল চীন

রাশিয়ার ‘বন্ধু’ দেশকে ‘গোপনে’ এইচকিউ-২২ মিসাইল দিল চীন

ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই রাশিয়ার বন্ধু সার্বিয়াকে গোপনে এইচকিউ-২২  ‘ভূমি থেকে আকাশ’কে নিক্ষেপযোগ্য মিসাইল সরবরাহ করেছে চীন।

  • ক্ষেপণাস্ত্র বোঝাই ছয়টি চীনা ওয়াই-২০ বিমান গত শনিবার সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডের বিমানবন্দরে নেমেছে বলে বার্তা সংস্থা এপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
  • শত্রুপক্ষ যদি যুক্তরাষ্ট্র পেট্রিয়ট বা রাশিয়ার এস-৩০০ এর মতো ক্রুজ মিসাইল হামলা করে, তা হলে ১৭০ কিলোমিটার পাল্লার চীনা এইচকিউ-২২ তার মোকাবিলা করতে পারে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের একটি মডেল বিমান হানা ঠেকাতেও ব্যবহার করা যায় বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
  • সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুসিক ওই ক্ষেপণাস্ত্র আমদানির কথা স্বীকার করেছেন। ২০১৯ সালের চুক্তি অনুযায়ী চীন থেকে মাঝারি পাল্লার ওই ক্ষেপণাস্ত্র আনা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
  • এর আগে ২০২০ সালে চীন থেকে এইচকিউ-২২ ক্ষেপণাস্ত্র না কেনার জন্য সার্বিয়াকে ‘বার্তা’ দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
  • কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার পথেই হাঁটল বেলগ্রেড। ইউরোপে প্রথম চীনা অস্ত্র আমদানিকারক দেশ হিসাবে সরকারি ভাবে বেলগ্রেডের নামে সিলমোহর পড়ল।
  • চীনের সাহায্যে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের ‘প্রভাব বলয়ে’ থাকা বলকান রাষ্ট্রগুলোর সামরিক শক্তিবৃদ্ধি ইউরোপে শান্তি বিঘ্নিত করবে বলে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমী দুনিয়ার আশঙ্কা।

বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, কসোভো, ম্যাসিডোনিয়া, মন্টিনিগ্রো, সার্বিয়া এবং স্লোভেনিয়া— এগুলো বলকান অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত।
তিন দশক আগে যুগশ্লাভিয়া ভেঙে সার্বিয়া, মন্টিনিগ্রো এবং স্লোভেনিয়া গঠিত হয়।

  • গত কয়েক বছর ধরে রাশিয়া ও চীনের সাহায্যে সার্বিয়া অস্ত্র মজুত করছে। কসোভোয় নতুন করে সেনা অভিযানের উদ্দেশ্যেই এমন পদক্ষেপ বলে আশঙ্কা পশ্চিম ইউরোপের।

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সার্বিয়ার পাশাপাশি রাশিয়া এবং চীনও স্বাধীন দেশ হিসেবে কসোভোকে স্বীকৃতি দেয়নি। ২০০৮ সালে সার্বিয়া থেকে বেরিয়ে একতরফা স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল কসোভো। সেখান থেকেই সামরিক সঙ্ঘাতের সূত্রপাত।

  • যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের (ন্যাটো) দুই সদস্য দেশ— তুরস্ক এবং বুলগেরিয়াতেও সম্প্রতি চীনা অস্ত্র সরবরাহের খবর সামনে এসেছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এই ঘটনাই প্রমাণ করে, দ্রুত বিশ্বের সর্বোত্তম শক্তি হয়ে ওঠার চেষ্টা চালাচ্ছে বেইজিং।
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments