অধিনায়ক হিসেবে ব্যর্থতার পাল্লাই ভারি মুমিনুল হকের। পরিসংখ্যান বলছে— ১৬ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে মাত্র ৩টিতে জয়ে এনে দিতে পেরেছেন মুমিনুল। ১১ টেস্টেই হার দেখেছেন টাইগাররা। দুটি টেস্ট অমীমাংসিত ড্র। চলতি ম্যাচ তথা ১৭তম টেস্টেও পরাজয়ের ডঙ্কা বাজছে।
- অবশ্য সাদা জার্সির ফরম্যাটে বাংলাদেশ দলের হার কেবল অধিনায়কের ওপর চাপানো ঠিক নয়; কারণ এই ফরম্যাটে এখনো জয়ে ধারাবাহিক হতে পারছেন না টাইগাররা।
- তাই বলে মুমিনুল থেকে অধিনায়কোচিত ইনিংসটা আশা করা যাবে না? অধিনায়ক হিসেবে তো বটেই ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সেও ব্যর্থতার পাল্লা দিন দিন ভারি করেই যাচ্ছেন মুমিনুল।
- সবশেষ সাত ইনিংসে মুমিনুল ফেরেন যথাক্রমে-০, ২, ৬, ৫, ৯ ও ০ রানে। বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়কের এ কী হাল! শুধু লাল বলে খেলা মুমিনুলের এমন বাজে ফর্ম হতাশ করবে যে কোনো সমর্থককে।
প্রশ্ন উঠেছে— অধিনায়কত্বের চাপেই কি ব্যাট হাসছে না মুমিনুলের?
যদিও এসবের কিছুই মনে করছেন না সাকিব আল হাসান। ফিক্সিংকাণ্ডে নিষিদ্ধ হওয়ার পর তার-ই পরিবর্তে ২০১৯ সালে টেস্ট দলের অধিনায়ক করা হয় মুমিনুলকে।
আর অধিনায়কত্ব পাননি সাকিব। সেই সাকিবই স্তুতি গাইলেন মুমিনুলের। জানালেন, এখন মুমিনুলই সেরা অপশন।
তবে মুমিনুলের ব্যাডপ্যাঁচের কথা স্বীকার করলেন সাকিব।
বৃহস্পতিবার দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে মুমিনুলের এমন পড়তি ফর্মের ব্যাপারে সাকিব বলেন, ‘একজন অধিনায়কের জন্য এই সময়টা খুবই কঠিন। তবে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে— আমরা তাকে কীভাবে সমর্থন করছি। আমাদের টেস্ট ক্রিকেটের যে অবস্থা মুমিনুলের থেকে ভালো কোনো অপশন আমাদের নেই। কাজেই তাকে সাপোর্ট করতে হবে। শুধু একটা ইনিংসের ব্যাপার, সব ঠিক হয়ে যাবে