Saturday, September 13, 2025
Homeবরিশালবরগুনাএক মাসের বিদ্যুৎ বিল ১,৮৫,৮৪১ টাকা!

এক মাসের বিদ্যুৎ বিল ১,৮৫,৮৪১ টাকা!

বরগুনার তালতলীতে সিডরে বিধ্বস্ত হওয়া পল্লি বিদ্যুতের একটি মিটার অফিসে খুলে নেওয়ার ১৫ বছর পরে নতুন করে এক লাখ ৮৫ হাজার ৮৪১ টাকা বিল করেছে কলাপাড়া জোনাল অফিস। তালতলীর ছোট ভাইজোড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। মিটারের মূল মালিকের মৃত্যু হওয়ায় তার ছেলের বিদ্যুৎ বিলের সঙ্গে বকেয়া বিল যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

  • জানা গেছে, উপজেলার ছোট ভাইজোড়া গ্রামের বৃদ্ধ আদম আলী গ্রামের রাস্তার পশ্চিম পাশে একটি মুদি দোকান চালাতেন। তিনি দোকানে নিজ নামে পল্লি বিদ্যুতের একটি মিটার (হিসাব নাম্বার ৩৭৪-২২০৫) নেন। বার্ধক্যজনিত কারণে ২০০৬ সালের ১০ নভেম্বর তিনি মারা যান। ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরে তার দোকান ঘরটি বিধ্বস্ত হয়। এতে পল্লি বিদ্যুতের লোকজন বিধ্বস্ত হওয়া মিটারটি খুলে নিয়ে যায়। কিন্তু মিটার খুলে নেওয়ার ১৫ বছর পর মৃত আদম আলীর ছেলে আনসার আলীর চলতি জুলাই মাসের বিদ্যুৎ বিলের সঙ্গে তার বাবার বকেয়া এক লাখ ৮৫ হাজার ৮৪১ বিদ্যুৎ বিল যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
  • শনিবার সরেজমিন গেলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, বৃদ্ধ আদম আলীর মৃত্যুর ২-৩ বছর পরে ২০১০ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত স্থানীয় এনায়েত করিমের ছেলে এনামুল করিম ওই দোকানের অদূরেই রাস্তার পূর্বপাশের সারিতে অটোরিকশা চার্জ দেওয়ার গ্যারেজ ব্যবসা চালু করেন। তিনি বিদ্যুৎ অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহায়তায় আদম আলীর নামের ওই মিটারের স্থান পরিবর্তন করে রাস্তার পূর্বপাশের খাম্বা থেকে অবৈধ সংযোগ নিয়ে অটোরিকশা চার্জ দেওয়ার ব্যবসা খোলেন। পরে দেনায় জর্জরিত হয়ে ২০১৮ সাল থেকে এনামুল করিম এখন গাঢাকা দিয়ে বেড়াচ্ছেন। তবে বর্তমানেও তার ওই গ্যারেজ ঘরে বিদ্যুতের মিটারটি লাইনচ্যুত অবস্থায় লাগানো রয়েছে।
  • আনসার আলী বলেন, আমার বাবা ১৯৯৮ সাল থেকে ছোট মাকে নিয়ে দোকান ঘরের পেছনেই আলাদা থাকতেন। আমরা তিন ভাই আলাদা সংসারে বসবাস করতাম। ২০০৬ সালের ১০ নভেম্বর বাবা মারা যান। ২০০৭ সালে সিডরের বন্যা হওয়ার কারণে বাবার দোকানঘর ভেঙে যায়। এর কিছু দিন পরই বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন এসে মিটারটি খুলে নিয়ে যায়। এখন বিদ্যুৎ অফিসের লোকেরা কাকে মিটারটি দিয়েছে জানি না। আমরা তিন ভাই নিজ নামে মিটার এনে ব্যবহার করছি। এনামুল করিমের বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
  • পল্লি বিদ্যুতের কলাপাড়া জোনাল অফিসের ডিজিএম সজিব পাল বলেন, আদম আলী মারা যাওয়ার কারণে তার নামের বিদ্যুৎ বিল ওয়ারিশ সূত্রে ছেলে আনসার আলীর নামে দেওয়া হয়েছে। এনামুল করিম যদি আদম আলীর মিটার অবৈধভাবে ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এজন্য আদম আলীর ছেলে আনসার আলীকে বিদ্যুৎ অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছে।

 

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments