Monday, September 15, 2025
Homeআন্তর্জাতিকভারতের ভোট রাশিয়ার বিরুদ্ধে

ভারতের ভোট রাশিয়ার বিরুদ্ধে

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর বিষয়টি নিয়ে প্রথমবারের মতো রাশিয়ার বিপক্ষে ভোট দিল ভারত। গত বুধবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ওই ভোটাভুটি হয়। এই ভোটের পর ইউক্রেন ইস্যুতে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি কিছুটা বদলেছে কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে।

২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা শুরু করে। রাশিয়াকে নিন্দা জানাতে বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে এর আগে জাতিসংঘে একাধিকবার ভোটাভুটি হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই দিল্লি ভোটদানে বিরত থেকেছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর বিরাগভাজন হতে হয়েছে ভারতকে। ইউক্রেনে হামলার কারণে রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিকসহ নানা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদেশগুলো। কিন্তু ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের জন্য ভারত রাশিয়ার সমালোচনা করেনি। নয়াদিল্লি বারবার রাশিয়া ও ইউক্রেনের পক্ষকে কূটনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে সংকট সমাধানের ওপর জোর দিয়ে আসছে।

ভারত বর্তমানে দুই বছর মেয়াদের জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য। এ বছরের ডিসেম্বরে ওই মেয়াদ শেষ হবে। বুধবার ইউক্রেনের স্বাধীনতার ৩১তম বার্ষিকী ছিল। ওই দিনই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ছয় মাস পূর্তি ছিল। ওই দিন সংঘাত বন্ধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকের শুরুতে জাতিসংঘে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত ভাসিলি এ নেবেনজিয়া নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ভার্চ্যুয়ালি অংশগ্রহণের বিরোধিতা ও উদ্বেগ জানিয়ে আনুষ্ঠানিক ভোটাভুটির অনুরোধ করেন।

তাঁর বক্তব্যের পর আলবেনিয়ার রাষ্ট্রদূত ফ্রেইত হোক্সা বক্তব্য দেন। এরপর নিরাপত্তা পরিষদের ভোটাভুটির মাধ্যমে জেলেনস্কির অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়। ভোটে ভারতসহ ১৩টি দেশ জেলেনস্কির অংশগ্রহণের পক্ষে ভোট দেয়। স্বাভাবিকভাবেই রাশিয়া বিপক্ষে ভোট দিলেও দেশটির মিত্র চীন ভোটদানে বিরত ছিল। রাশিয়া ও চীন ছাড়াও নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স।

জেলেনস্কি তাঁর বক্তব্যে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের জন্য রাশিয়াকে জবাবদিহি করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘যদি এখনই মস্কোকে আটকানো না হয়, তবে রাশিয়ার সব খুনিরা অনিবার্যভাবে অন্যান্য দেশে হামলা করবে। ইউক্রেনের ভূখণ্ডে বিশ্বের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা হবে। আমাদের স্বাধীনতা আপনাদের নিরাপত্তা।’

প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, রাশিয়া জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করে বিশ্বকে পারমাণবিক বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে। তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে পারমাণবিক ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ করেন। তিনি সেখান থেকে দ্রুত রুশ সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সতর্কতা বাতি জ্বলছে। তিনি আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments