Sunday, September 14, 2025
Homeসরকারসঞ্চয়পত্রের মুনাফা দিতে পারছে না ডাকঘর

সঞ্চয়পত্রের মুনাফা দিতে পারছে না ডাকঘর

রাজধানীর মোহাম্মদপুর ডাকঘর। গত সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে বেশ কয়েকজন গ্রাহক সঞ্চয়পত্রের মুনাফার টাকা না পেয়ে ফিরে যান।

তাঁদের একজন ব্যবসায়ী মো. আনোয়ারুল আজীম। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি মাত্র আট হাজার টাকার জন্য এসেছিলাম।ডাকঘর সেই টাকা দিতে পারেনি, বলছে টাকা নেই। অনেকেই আপনার মতো মুনাফা নিতে আসবে। এ ছাড়া ডাকঘরগুলো থেকে ব্যাপকভাবে কমেছে সঞ্চয়পত্র বিক্রি।

মোহাম্মদপুর পোস্ট অফিসের মাস্টার মো. নুরুল আমিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সঞ্চয়পত্র কেনার হার এখন কম। গত মাসের সঙ্গে তুলনা করলে এখন প্রায় ৩ শতাংশের ১ শতাংশ বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ প্রায় ৬৬ শতাংশ কমে গেছে। ফলে মুনাফার টাকা দিতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। ’

সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে জানালেন জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ব্যুরো ও পরিসংখ্যান) নাজমা আক্তার। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এখন মূল সমস্যা আয়কর দাখিলের কাগজ নিয়ে। যাঁরা সরকারি চাকরিজীবী, উচ্চবিত্ত, ব্যবসায়ী যাঁরা আছেন তাঁরা আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে বাধ্য। এসব বাধ্যবাধকতায় সঞ্চয়পত্র বিক্রি অর্ধেক কমে গেছে। ’

চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে পুরনো সঞ্চয়পত্রের মূল টাকা ও মুনাফা পরিশোধের পর নিট বিক্রি দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ১৫৭ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৯ হাজার ২২৯ কোটি টাকা কম, যা শতকরা হিসাবে ৫১ শতাংশ। সেই হিসাবে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি কমেছে অর্ধেকেরও বেশি। অর্থবছরে ১১ মাসে নিট বিক্রি ছিল ৩৭ হাজার ৩৮৬ কোটি টাকা।

ডাকঘর মুনাফার টাকা পেতে ভোগান্তির কথা জানতে চাইলে নাজমা আক্তার বলেন, মুনাফা হয়তো আসতে দেরি হয়। ডাকঘর সঞ্চয়পত্রের বিক্রিতে ধস নেমেছে। এ ছাড়া সফটওয়্যারের মাধ্যমে এটা দেওয়া হয়। তাঁদের পর্যাপ্ত আইসিটি বিভাগে লোক নেই, এটা হচ্ছে তাঁদের সমস্যা। বিক্রি কমে যাওয়ায় হয়তো তারা সময়মতো মুনাফার টাকা পরিশোধ করতে পারছে না।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments