রূপচর্চার একটি ধাপ ‘এক্সফলিয়েট’। এর মাধ্যমে ত্বকের মৃত কোষ দূর করা, বন্ধ লোমকূপ পরিষ্কার করা-সহ বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে। তবে জানতে হবে সঠিক পদ্ধতি।সেই সঙ্গে রক্ষা পাওয়া যায় ব্রণের হাত থেকে।
আর এই বিষয়ে টাইমসঅফইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিস্তারিত জানিয়ে ভারতের অর্গানিক প্রসাধনী তৈরির প্রতিষ্ঠান প্ল্যান্টাস’য়ের জ্যেষ্ঠ গবেষক মধুমিতা ধর।
মৃদু পরিষ্কারক: ত্বকের যত্নে মৃদু পরিষ্কারক ব্যবহার করা উপকারী। ধুলাবালি, ময়লা, ঘাম, তেল ও মেইকআপের অবশিষ্ট অংশ লোমকূপে আটকে ব্রণ, হোয়াইট ও ব্ল্যাক হেডস সৃষ্টি করে।সাবান নয়, মৃদু ফেইস ওয়াশ বা ক্লিঞ্জার দিয়ে দিনে দুতিনবার মুখ পরিষ্কার করা উপকারী। নিম, তুলসি ও হলুদের নির্যাস সমৃদ্ধ পরিষ্কারক ব্যবহার করতে হবে।
সানস্ক্রিন ব্যবহার:সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে বাঁচতে ইউভিএ এবং ইউভিবি সমৃদ্ধ সানব্লক ব্যবহার করা উচিত। সানব্লকে এসপিএফ কমপক্ষে ৩০ বা তার বেশি হতে হবে। আর তা যেন চিটচিটে না হয়, পানি ও ঘামরোধী হয় সে বিষয়েও নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে।
কম মেইকআপ ব্যবহার:সাধারণত বৃষ্টি ও ঘামে মেইকআপ গলে যায়। বাইরে যাওয়ার সময় খুব বেশি মেইকআপের স্তর ব্যবহার করা ঠিক নয়। হালকা মেইকআপই ত্বকের জন্য যথেষ্ট।হালকা ও পানিরোধী মেইকআপ ব্যবহার করা উচিত। রাতে ঘুমানোর আগে মেইকআপ তুলতে তুলসী ও নিম সমৃদ্ধ মৃদু পরিষ্কারক ব্যবহার করা উচিত। এতে ব্রণ ও লোমকূপ আবদ্ধ হয়ে যাওয়ার প্রবণতা কমে।
ময়েশ্চারাইজ ও আর্দ্রতা:অনেকেই মনে করেন তৈলাক্ত ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের প্রয়োজন নেই, এটা ভুল ধারণা। সব ধরনের ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের প্রয়োজন রয়েছে।নিয়মিত এর ব্যবহারে ত্বকের বলিরেখা ও বয়সের ছাপ কমে এবং উজ্জ্বলভাব ফুটে ওঠে। ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি পান করা প্রয়োজন, এতে ত্বক আর্দ্র থাকবে।