Sunday, September 14, 2025
Homeজাতীয়আইন আদালতধর্ষণ মামলায় ফের আদালতে মামুনুল হক

ধর্ষণ মামলায় ফের আদালতে মামুনুল হক

ধর্ষণ মামলায় সপ্তম দফায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়েছে হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হককে।

তার বিরুদ্ধে আজ অভিযোগপত্রের ১৯, ২০, ২১ ও ২২তম সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেবেন। তারা সবাই পুলিশ কর্মকর্তা। সেই সঙ্গে আগের ধার্য তারিখে বাকী থাকা অভিযোগপত্রের ১৬, ১৭, ১৩ ও ১৪তম সাক্ষীরও সাক্ষ্য নেওয়ার কথা রয়েছে। এদের মধ্যেও দুজন পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন।

সোমবার সকাল ৯টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে জেলা কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয় মামুনুল হককে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে আবার কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হবে।

এদিন বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে।

সম্ভাব্য সাক্ষ্যদাতারা হলেন সোনারগাঁ থানার তৎকালীন এসআই আরিফ হাওলাদার, বোরহান, মো. কোবায়েদ হোসেন ও নুরুল ইসলাম।

অন্য সাক্ষ্যদাতারা হলেন সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক সাইদুজ্জামান, এসআই ইয়াউর রহমান এবং তার আগের তারিখে বাকী থাকা পারভেজ ও মেহেদী হাসানেরও সাক্ষ্য নেওয়ার কথা রয়েছে।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ বলেন, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণের কথা রয়েছে।

২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ভাঙচুর করে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে যান।

ঘটনার পর থেকেই মামুনুল হক মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করে আসছিলেন। এ সময় পুলিশ তাকে নজরদারির মধ্যে রাখে। এরপর ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল ওই মাদরাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় মামুনুলকে।

মামুনুল হকের দাবি, ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। তবে ঘটনার প্রায় চার সম্পাহ পর সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments