পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে শেহবাজ শরিফকে অযোগ্য ঘোষণা করতে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হয়েছে। পাকিস্তানের সংবিধানের আর্টিকেল ৬২ (১)(এফ) এর অধীনে এই আবেদন দাখিল করা হয়।পাকিস্তানে বিরোধী রাজনৈতিক দল ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের নেতা আন্দলিব আব্বাস এবং হাসান নিয়াজি আইনজীবী অ্যাডভোকেট আসাদ মঞ্জুর বাটের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনটি দায়ের করেছেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ তার বিদেশ সফরের সময় আদালতকতৃক ঘোষিত অপরাধী এবং দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। এতে আরও বলা হয়েছে, পাকিস্তানের একটি জবাবদিহি আদালত ইতোপূর্বে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ প্রধান নওয়াজ শরিফকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ৮০ লাখ রুপি জরিমানা করেছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বিদেশ সফরের সময় হুসেইন নওয়াজ, সুলেমান শেহবাজ এবং ইসহাক দারের সাথে দেখা করেছিলেন। পরে ইসহাক দারকে নিজের বিমানে করে পাকিস্তানে নিয়ে এসেছেন।আবেদনে বলা হয়েছে, শেহবাজ শরিফের এই সমস্ত পদক্ষেপ দেশের সংবিধান এবং আইনের লঙ্ঘন। এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
আর্টিকেল ৬২ (১)(এফ) এর অধীনে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজকে অযোগ্য ঘোষণা করে আবেদনটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের তাদের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখার জন্য সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ করেছেন ইমরানের দলের দুই নেতা আন্দলিব আব্বাস এবং হাসান নিয়াজি।উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ আল-আজিজিয়া দুর্নীতি মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। সাজাপ্রাপ্ত হলেও ২০১৯ সালে আদালতের অনুমতি নিয়ে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান নওয়াজ এবং এরপর থেকে সেখানেই অবস্থান করছেন তিনি।