Sunday, September 14, 2025
Homeঅপরাধহুন্ডিতে তছনছ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ

হুন্ডিতে তছনছ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ

মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বিকাশ ও রকেটের আড়ালে হুন্ডিতে তছনছ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের অনেক দেশে প্রকাশ্যে সাইনবোর্ড লাগিয়ে হুন্ডির ব্যবসা করছে বিকাশ ও রকেট। ফলে দেশে আসছে না ডলার। ডলার সংকটে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প-কারখানায় অচলাবস্থার কথা জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বন্ডে বিনিয়োগও মন্দা। প্রবাসীদের বন্ড নবায়ন হচ্ছে না।

অংশীজনরা বলছেন, বন্ডে বিনিয়োগ বাড়াতে প্রচলিত আড়াই শতাংশের সঙ্গে আরও ১ শতাংশ প্রণোদনাসহ তিন স্তরে বিনিয়োগ সুবিধা প্রয়োজন। তবেই কমতে পারে হুন্ডি। পাশাপাশি হুন্ডিতে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের অনুসন্ধান ও বিদেশে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো জরুরি। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সবার আগে ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত। একটি গ্রহণযোগ্য মূল্য নির্ধারিত হলেই অনেক কিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তবে মনিটরিং করতে হবে কেউ যেন উন্মুক্ত বাজার দরের সুবিধা নিয়ে অতি মুনাফা না করে। তিনি বলেন, প্রবাসী বন্ড নবায়ন না করলে তো ডলার আবার বিদেশেই চলে যাবে। ডলার সংকটের এই সময়ে প্রবাসী বন্ডে বিনিয়োগের সীমা অবশ্যই তুলে নেওয়া উচিত।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন- এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, কনভেনশনাল ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। আগের নিয়মে চললে হবে না। বন্ডে বিনিয়োগের কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ে। চলমান পরিস্থিতিতে বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত। হুন্ডি কমাতে রেমিট্যান্সে প্রণোদনা বাড়াতে হবে। প্রণোদনা বাড়ালে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়বে। রপ্তানির জন্য ১০ থেকে ২০ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে রেমিট্যান্সে মাত্র আড়াই শতাংশ। প্রণোদনা বাড়ানো গেলে হুন্ডি কমবে। এ ছাড়া রেমিট্যান্স প্রেরণকারী দেশগুলোতে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর এক্সচেঞ্জ হাউসের উদ্যোগে প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করা যেতে পারে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments