বয়স্কদের সঙ্গে তুলনা করলে প্রায় পূর্ণগর্ভকাল পাওয়া ৬০ শতাংশ নবজাতক ও ৭৫-৮০ শতাংশ অকালজাত কিংবা স্বল্প ওজনের নবজাতকের জন্ডিস হয়ে থাকে। তবে এসব জন্ডিসের বেশির ভাগ নির্দোষ। নবজাতকের জন্ডিস বিষয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন— প্রফেসর ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী, সাবেক বিভাগীয় প্রধান, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।
মা ও নবজাত শিশুর ব্লাড গ্রুপে গরমিল থাকলে যেমন—মায়ের ব্লাড গ্রুপ যদি আরএইচ নেগেটিভ হয় এবং নবজাত সন্তানের আরএইচ পজিটিভ থাকে, তবে শিশুর জন্ডিস দেখা দিতে পারে।
থাইরয়েড গলগ্রন্থি থেকে নিঃসৃত থাইরয়েড হরমোন মানবমস্তিষ্কের বিকাশে অবশ্য প্রয়োজনীয় উপাদান। এর অভাবে শিশুর দৈহিক বাড়ন ও বুদ্ধির বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। শিশু হয় খর্বাকায় ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী।
সব নবজাতক শিশুকে প্রথম ৭২ ঘণ্টা বয়সে জন্ডিস দেখা দিয়েছে কি না, যাচাই করে নিতে হবে। শিশুর ত্বক, চোখ ও হাত-পা সূর্যের আলোয় পরীক্ষা করলে তা বোঝা যায়। জন্ডিস হয়েছে মনে হলে অবশ্যই বিলিরুবিনের মাত্রা নির্ণয় করা উচিত।
নবজাতক শিশুর জন্ডিস দেখা দিলে অবশ্যই শিশু বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে ব্যবস্থাপনা গ্রহণ। নবজাতক শিশুকে রোদে দিয়ে জন্ডিস কমানোর পুরনো ধারণা ক্ষতিকর বলে প্রমাণিত।