দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানের কাছে যেসব ড্রোন ছিল সেগুলো কেবল নজরদারির জন্য ব্যবহৃত হতো। কিন্তু করাচিতে চলমান অস্ত্র প্রদর্শনীতে পাকিস্তানের অস্ত্র প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলো প্রথমবারের মতো এমন ধরনের ড্রোন প্রদর্শন করেছে, যা আক্রমণ করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
করাচিতে অস্ত্র প্রদর্শনী চার বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রধান এতে অংশ নিয়েছেন।১৮ নভেম্বর শুরু হওয়া এই প্রদর্শনীতে চীন ও তুরস্ক ছাড়াও আরও অনেক দেশের কোম্পানি অংশ নিয়েছে।
পাকিস্তানের সীমান্ত এলাকায় মার্কিন ড্রোন বিমান যখন উগ্রপন্থীদের লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে, তখনই পাকিস্তানের মানুষ ড্রোনের সাথে পরিচিত হন।
নজরদারি ড্রোনের গুপ্তচরবৃত্তির জন্য গোয়েন্দা ড্রোন মাধ্যমে ড্রোনের জগতে প্রথম পা রেখেছিল পাকিস্তান। নজরদারির জন্য ব্যবহৃত এই ড্রোনগুলো আগের অস্ত্র প্রদর্শনীতে দেখা গিয়েছিল।
পাকিস্তান সরকারের কোম্পানি গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড ডিফেন্স সলিউশনের জিআইডিএস সিইও আসাদ কামাল বলেন, পাকিস্তান সরকার তাকে পরিষ্কারভাবে বলেছিল যে, পাকিস্তান যে প্রযুক্তির জন্য বিদেশের ওপর নির্ভরশীল, তা ধীরে ধীরে পাকিস্তানে বিকশিত করতে হবে। এতে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।
শাহপার কে বলা হচ্ছে পাকিস্তানের ফ্ল্যাগশিপ ড্রোন; যা এখন পাকিস্তানের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে। পাকিস্তান সরকার এই ড্রোন অন্য দেশের কাছে বিক্রিও করতে চায়।
আসাদ কামাল ব্যাখ্যা করেন, শাহপার-২ এক হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত উড়তে পারে এবং এর লক্ষ্যবস্তুতে প্রবেশ করতে পারে। এই ড্রোনটি স্যাটেলাইটের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে, দিন বা রাতের যে কোনও অপারেশনে সফল এটি। ড্রোনটি লেজার ব্যবহার করে লক্ষ্য স্থির করে এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে সক্ষম।শাহপার-২ ঘণ্টায় ১২০ নটিক্যাল মাইল (নটস) পর্যন্ত গতিতে উড়তে পারে। এর টেক-অফ স্পিড ৮০ নটিক্যাল মাইল থেকে ৮৫ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত। এর ক্রুজ গতিও ৮০-৮৫ নট।এর ডাটা লিংক রেঞ্জ ৩০০ কিলোমিটার।