Sunday, September 14, 2025
Homeঅন্যান্যপদ্মা সেতুতে টোলের ভাগ দাবি রেলওয়ের

পদ্মা সেতুতে টোলের ভাগ দাবি রেলওয়ের

পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে রেলসংযোগ রয়েছে। এ অংশ দিয়ে ট্রেন পার হতে ৩৫ বছরে রেলওয়ের পক্ষ থেকে সেতু কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে ৬ হাজার ২৫২ কোটি টাকারও বেশি। আর সেতু চালুর প্রথম বছরেই দিতে হবে ১০৬ কোটি টাকা। বিভিন্ন বছরে পরিশোধের হারও ভিন্ন। কিন্তু এই অর্থ পরিশোধের সামর্থ্য নেই বাংলাদেশ রেলওয়ের। এ জন্য সেতু বিভাগের দাবি করা অর্থের বিস্তারিত জানতে চাইবে রেলওয়ে।

নির্মাণব্যয়ের খরচ দিতে হলে টোলের ভাগও দিতে হবে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও অর্থ বিভাগে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মূলত সেতু কর্তৃপক্ষের দাবি করা অর্থ পরিশোধ অসম্ভব সেটিই যুক্তি দিয়ে তুলে ধরবে রেলওয়ে। গতকাল রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব আলোচনা হয়েছে।বৈঠক সূত্র জানায়, পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে ট্রেনে কী পরিমাণ যাত্রী ও পণ্য পরিবহন করতে হবে এবং সেতু কর্তৃপক্ষের প্রস্তাবের সঙ্গে এর তফাতের পরিমাণ পর্যালোচনা করতে একটি কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে।

এ রুটে ট্রেন চলাচলের সম্ভাব্য চাহিদা, আয় ও ব্যয়, বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে যাত্রী পরিবহনের আয় ও নির্ধারিত ট্যারিফের তারতম্য সবই খতিয়ে দেখে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি। সেখানে বলা হয়, রেলওয়ে ডেক, ভায়াডাক্ট ইত্যাদি নির্মাণে ঠিকাদারের ব্যয় দেখানো হয়েছে ৫ হাজার ১৮৩ কোটি টাকা। এটি মোট ব্যয়ের শতকরা হিসাবে ১৭.০২৫%। এ জন্য ট্যারিফ প্রস্তাব ৬২৫২ কোটি টাকা। রেল মনে করছে, সেতু বিভাগের দাবি করা প্রস্তাবটি যুক্তিসঙ্গত ও বাস্তবধর্মী নয়। এটি পরিশোধের সুযোগ নেই মর্মে সেতু কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।

বঙ্গবন্ধু সেতু ব্যবহারের জন্য বর্তমানে নির্ধারিত টোল বছরে ১ কোটি টাকা। পদ্মা সেতুর ক্ষেত্রে ১ কোটি থেকে দেড় কোটি টাকা নির্ধারণে সম্মতির তথ্য জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। অন্যান্য বড় সেতুর মতো পদ্মা সেতুতে রেললাইন রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বহনে ট্রেন চালুর প্রথম দিন থেকে ১০০ কিলোমিটার ‘পনটেজ চার্জ’ হিসাবে আদায় করার কথা বলেছে রেলওয়ে।

রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, পদ্মা সেতু লাভজনক স্থাপনা। এই স্থাপনার মালিকানার অংশ পেতে চায় রেলওয়ে। সেতু বিভাগের দাবি করা অর্থ নির্মাণব্যয়ের ১৭.০২৫% পরিশোধ করতে হলে মালিকানা পেতে পারে রেলওয়ে। এর মাধ্যমে নিট মুনাফা অর্জন করতে পারে সংস্থাটি। তাই সেতু কর্তৃপক্ষকে নির্মাণ খরচ দিলে টোলসহ আয়ের উৎস তৈরি করতে চায় রেল। এ জন্য সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হতে পারে। পদ্মা সেতুতে ট্রেন চলাচলের অবকাঠামো নির্মাণের পরিপ্রেক্ষিতে ট্যারিফ সংক্রান্ত আরেকটি বৈঠক হতে পারে সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments