দেশ-বিদেশের পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম এক্সপো আয়োজন করেছে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ। আজ ১ ডিসেম্বর থেকে তিনদিন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলবে এই মেলা। ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে মেলা।
আটাব জানায়, এবারের মেলায় ১৫টির বেশি দেশ অংশ নিচ্ছে। এর মাঝে রয়েছে ভারত, মালয়েশিয়া, ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ, ওমান, শ্রীলঙ্কা, তুরস্ক, আজারবাইজান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত। এছাড়াও বিভিন্ন দেশের এয়ারলাইন্স, হসপিটাল, ট্যুরিজম বোর্ড, ট্রাভেল এজেন্সি, ট্যুর অপারেটর, হোটেল, রিসোর্ট, ক্রুজ লাইনার, ডেস্টিনেশন ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি ও অন্যান্য ট্রাভেল ও ট্যুরিজম সংশ্লিষ্ট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে মেলায়।
পর্যটন মেলায় স্টল দিয়েছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন। এই স্টলে দেশের বিভিন্ন পর্যটন এলাকাগুলোতে নিজস্ব হোটেল, মোটেল, ট্যুর প্যাকেজসহ বিভিন্ন ধরনের সেবা তুলে ধরছে প্রতিষ্ঠানটি।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. আলি কদর বলেন, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম এক্সপোতে পর্যটন করপোরেশনের সেবাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া বছরব্যাপী পর্যটন করপোরেশনের বিভিন্ন কর্মসূচি বা যেসব সেবা দিয়ে থাকে তা উপস্থাপন করা হচ্ছে।
মেলায় বিভিন্ন রুটের টিকিটে ছাড় দিচ্ছে বেসরকারি এয়ারলাইন্স ইউএস-বাংলা। প্রতিষ্ঠানটির মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম জানান, শীতের মৌসুমে অভ্যন্তরীণ রুটের মধ্যে কক্সবাজার, সিলেট উড়োহাজাজের টিকিটের বেশি চাহিদা থাকে। এছাড়া ভারত, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশের রুটেও চাহিদা আছে তাদের।
আটাবের সভাপতি এস এন মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, পর্যটন খাতের বিকাশের উদ্দেশ্যেই এই আয়োজন করা হয়েছে। করোনা পরবর্তী সময়ে যেভাবে অভ্যন্তরীণ পর্যটন বিকাশ লাভ করেছ, এই মেলার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যাতে দেশের পর্যটন ছড়িয়ে পড়ে, সেই ব্যবস্থা করতে চাই। এছাড়া মেলা দেশি-বিদেশি ট্রাভেল এজেন্সি ও ট্যুর অপারেটরদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরিতে ভূমিকা রাখবে।