Sunday, September 14, 2025
Homeবিনোদনঅক্ষয়ের অনুমতি ছাড়াই লন্ডনে যেতেন টুইঙ্কল!

অক্ষয়ের অনুমতি ছাড়াই লন্ডনে যেতেন টুইঙ্কল!

প্রাথমিক জীবনে একজন অভিনেত্রী হওয়া সত্ত্বেও পরবর্তীকালে লেখিকা হিসেবেই নিজের ক্যারিয়ার বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন টুইঙ্কল খান্না। শুধু তাই নয়, ২০২৪ সালে ৪৯ বছর বয়সে অভিনেত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি আরও বেশি পড়াশোনা করবেন। লন্ডনে গিয়ে থাকার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন তিনি। অভিনেত্রীর এই সিদ্ধান্তে পূর্ণ সমর্থন করেছিলেন অক্ষয়।

অক্ষয়ের অনুমতি ছাড়াই লন্ডনে যেতেন টুইঙ্কল

তবে সমর্থন না পেলে কী করতেন টুইঙ্কল? পড়াশোনা ছেড়ে দিতেন? স্বপ্ন ছেড়ে গৃহবন্দী হয়ে থাকতেন? সম্প্রতি এফআইসিসিএফএলও- এর সাথে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে টুইঙ্কল বলেন, আমি এমন একটি পরিবারে বেড়ে উঠেছি যেখানে অনুমতি নেওয়ার কোনো চল ছিল না। একজন ব্যক্তি নিজের পূর্ণ স্বাধীনতায় সিদ্ধান্ত নিতে পারত। তবে আমি খুব ভাগ্যবান যে আমার স্বামী প্রতিটি পদে আমার পাশে থেকেছেন।

আরও পড়ুনঃ পরকীয়া থেকে দাম্পত্য, বিবাদে মন ভাঙল কার কার?

টুইঙ্কল বলেন, আমি যখন লন্ডনে গিয়ে থাকার কথা বললাম অক্ষয়কে, তখন ও এক কথায় রাজি হয়ে গিয়েছিল। যদিও ও রাজি না হলেও আমি আমার সিদ্ধান্তে অটল থাকতাম। তবে স্বাভাবিকভাবেই ও রাজি না হলে সিদ্ধান্ত নিতে কিছুটা কষ্ট হতো। তবে ওর পাশে থাকায় আমার পড়াশোনা করতে কোনও অসুবিধা হয়নি।

মহামারী চলাকালীন টুইঙ্কল কিছু অনলাইন কোর্স করেছিলেন এবং পরবর্তীকালে তিনি সেই শিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টাও করেছিলেন। স্নাতক হওয়ার জন্য তিনি লন্ডনে চলে যান যেখানে ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন থেকে স্নাতকোত্ত ডিগ্রি অর্জন করে এই বছর জানুয়ারি মাসের স্নাতক হন।

টুইঙ্কল খান্নার স্নাতক হওয়ার পর ইনস্টাগ্রাম-এ একটি নোট লিখেছিলেন অক্ষয়। অক্ষয় লিখেছিলেন, আমি যখন দেখলাম তুমি কঠোর পরিশ্রম করছ। পড়াশোনার পাশাপাশি সন্তান এবং ক্যারিয়ার সবকিছু খুব সুন্দরভাবে হ্যান্ডেল করছো তখন আমি বুঝলাম যে আমি একজন সুপারওম্যানকে বিয়ে করেছি। তোমার এই সফলতায় আমি ভীষণ খুশি। আজ মনে হচ্ছে আমিও যদি একটু পড়াশুনা করতাম তাহলে হয়তো আরও ভালো কিছু বলতে পারতাম তোমার জন্য।

প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে ‘লাভ কে লিয়ে কুচ ভি কারেগা’ সিনেমায় সর্বশেষ অভিনয় করেছিলেন টুইঙ্কল। প্রযোজক হিসেবে শেষ কাজ করেছিলেন ২০১৮ সালে ‘প্যাড ম্যান’ সিনেমায়। সিনেমার পাশাপাশি একাধিক বইও লিখেছেন তিনি যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য দ্য লিজেন্ড অফ লক্ষ্মী প্রসাদ, মিসেস ফানিবোনস, পাজামা আর ফর গিভিং। সূত্র: আনন্দবাজার

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments