বরিশালের শেরেবাংলা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, অনৈতিক কার্যকলাপ, অনিয়ম দুর্নীতি ও যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেছে। বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর নতুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল সংলগ্ন বিদ্যালয়ের সামনে সড়ক অবরোধ করে তারা প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবি জানান। শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের বিদ্যালয়ে অসঙ্গতিপূর্ণ আচরণ ও প্রশাসনিক দুর্নীতি বন্ধ করা হোক।
পরে প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে শিক্ষার্থীরা স্কুল ত্যাগ করতে বাধ্য হন। এর পর, বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সামনে গিয়ে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। শিক্ষার্থীরা তাদের দাবির প্রতি প্রশাসনের কার্যকরী পদক্ষেপ আশা করে।
বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী জুলিয়া আক্তার জানান, অনিয়ম-দুর্নীতি ও যৌন হয়রানির অভিযোগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। পরে তিনি কোর্টের একটি অর্ডার নিয়ে পুনরায় বিদ্যালয়ে প্রবেশ করলে শিক্ষার্থীরা বাধা দেয়। এরপরেও বুধবার তিনি বহিরাগতদের নিয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে পুনরায় ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করে। আমরা এর প্রতিবাদে এবং তার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করছি।
আরও পড়ুন: রাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক দৈনিক সচেতন বার্তাকে বলেন, প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ বিভিন্ন অভিযোগে বরখাস্ত হয়েছিল। তিনি আদালতের একটি নির্দেশনা নিয়ে যোগদান করতে আসলে বিভাগীয় কমিশনার পুনরায় আপিলের মাধ্যমে তার যোগদানে নিষেধাজ্ঞা দেয়।
এরপর তিনি শিক্ষা বোর্ডকে ম্যানেজ করে এবং বহিরাগত কিছু লোকজনকে নিয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন। ওই সময় ছাত্রীরা বাধা দিলে ছাত্রীদের সঙ্গে বহিরাগত এবং প্রধান শিক্ষকের হাতাহাতি হয়। এতে কয়েকজন ছাত্রী শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে শেরেবাংলা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ রশিদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ঘটনার বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর ইউনুস আলী সিদ্দিকী সচেতন বার্তাকে জানান, শেরেবাংলা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে এবং আমরা দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।