Sunday, September 14, 2025
Homeজাতীয়আইন আদালতসাব্বির আলম হত্যায় সব আসামি খালাস

সাব্বির আলম হত্যায় সব আসামি খালাস

নারায়ণগঞ্জের জাপা (না-ফি) নেতা সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলার সাত আসামিই বেকসুর খালাস পেয়েছেন। আজ মঙ্গলবার জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক মোমিনুল ইসলাম এ রায় দেন।

 

২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি নগরীর মাসদাইর এলাকায় নিজ বাড়ির অদূরে গুলিতে নিহত হন সাব্বির আলম। তিনি বিকেএমইএর সাবেক সহসভাপতি ছাড়াও তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকারের ছোট ভাই ছিলেন। এ ঘটনায় তৈমূর আলম খন্দকার ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন। পরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খান, তার দুই ভাইসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় সিআইডি। কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় আগেই মামলা থেকে অব্যাহতি পান মনিরুজ্জামান শাহীন।

আজ খালাস পেলেন জাকির খান, তার দুই ভাই জিকু খান ও মামুন খান, সহযোগী জঙ্গল ওরফে লিটন, মোক্তার হোসেন, নাজির আহমেদ এবং আব্দুল আজিজ। জাকির খান ছাড়া অন্যরা জামিনে ছিলেন। ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন জাকির।

আরও পড়ুনঃ খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি চলছে

রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন সাব্বির আলমের মেয়ে আইনজীবী ফাতেমা তুজ জহুরা শবনম। ন্যায়বিচার পেতে উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানান তিনি।

মামলার রায় ঘিরে আজ আদালত এলাকায় জাকির খানের কয়েকশ অনুসারী জড়ো হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবিকে সতর্ক অবস্থানে দেখা যায়।

জানতে চাইলে তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, এমন নৃশংস হত্যা মামলার আসামিরা গণহারে খালাস পাওয়ায় প্রশ্নবিদ্ধ হলো বিচার ব্যবস্থা। সাব্বির আলম খন্দকারের ভাইয়েরা ক্ষমতায় নেই বলে এমন রায় হয়েছে। আমরা এ মামলা চালাতে গিয়ে কারও সহযোগিতা পাইনি। প্রতি শুনানির দিনে জাকির খানের লোকজন আদালতের সামনে শোডাউন করেছে। আদালত কখনও শোডাউনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেননি। সাক্ষীরা ভয়ে যথাযথ সাক্ষ্য দিতে পারেননি।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ জানান, আসামিদের উপস্থিতিতে আদালত রায় দিয়েছেন। বাদীপক্ষ অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে। সাব্বির আলমের ভাই তৈমূর আলম খন্দকার সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী; নিহতের মেয়েও আইনজীবী। তারাই মামলাটি তদারকি করেছেন। তিনি আরও জানান, মামলায় ৫২ জনকে তালিকাভুক্ত করা হলেও সাক্ষ্য দেন ২১ ব্যক্তি। অন্তত ৯ কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত করেছেন। পরে ২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারি আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

জাকির খানের আইনজীবী রাজীব মণ্ডল জানান, জাকির খানের বিরুদ্ধে মোট ৩৩ মামলা ছিল। ৩১ মামলায় খালাস পেয়েছেন। বাকি চাঁদাবাজি ও অস্ত্র মামলায় জামিনে আছেন। ফলে জাকির খানের মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Recent Comments