শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বন্দনা নয়, ইতিহাস সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে তুলে ধরা হয়েছে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীসহ দেশ গড়ার নেপথ্যের সব কারিগরকে। যোগ হচ্ছে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার ওপর হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছোড়ার চিত্র।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার পতনের আগে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে পাঠ্যবইয়ে ইতিহাস বিকৃতি ও অতিরঞ্জিত বর্ণনা নিয়ে যে আলোচনা-সমালোচনার ছিল তা পরিমার্জন করে নতুন বছরের বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিয়েছে অন্তর্বতীকালীন সরকার।
চলতি বছরের পঞ্চম শ্রেণির বাংলা বইয়ের ৭৯ পৃষ্ঠায় আমরা তোমাদের ভুলব না শিরোনামে জায়গা পেয়েছে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাঈদ ও মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধের গল্প। ষষ্ঠ শ্রেণির চারুপাঠে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র ও পোস্টারের ভাষা’ অধ্যায়ে আছে অভুত্থান সংশ্লিষ্ট গ্রাফিতি।
এতে কার্টুনের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার ওপর হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছোড়ার চিত্র। সপ্তম শ্রেণির বাংলা বই-সপ্তবর্ণার ৯২ পৃষ্ঠায় সিথি শিরোনামের কবিতায় কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষের জুলাই বিপ্লবে অংশগ্রহণের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ শিক্ষকরা রাজনীতি করতে পারবেন নাঃ ডা. বিধান রঞ্জন
আবার সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি বইয়ে ৩১ থেকে ৩৩ পৃষ্ঠায় ২০১৮ সালের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনসহ পরবর্তী প্রতিটি আন্দোলনে জেনারেশন-জেড এর ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে।
উঠে এসেছে শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা।নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা সাহিত্যের ১৫৩ থেকে ১৫৪ পৃষ্ঠায় ‘আমাদের নতুন গৌরবগাঁথা’ অধ্যায়ে ২০২৪ সালের বির্তকিত নির্বাচন, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, দুর্নীতি ও বৈষম্যের বিবরণও স্থান পেয়েছে।
নবম ও দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বইয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অধ্যায়ে বলা হয়েছে, ২৬ মার্চ মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এরপর তিনি ২৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে আবারও স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
আছে শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণও। তৃতীয় শ্রেণির ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়’ বইয়ে অধ্যায় যুক্ত করা হয়েছে ‘আমাদের চার নেতা’। আছে শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেখ মুজিবুর রহমানের কথা।
পাঠ্যবইকে যুগোপযোগী করতে চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. একএম রিয়াজুল হাসান।
পরবর্তী সংস্করণে আরও পরিমার্জন আসবে বলে জানিয়েছেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান।
দৈনিক সচেতন বার্তাকে ফেসবুকে ফলো করুন