দুর্নীতির মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। আর তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। শুক্রবার এই সাজা দেওয়া হয় বলে পাকিস্তানের স্থানীয় সম্প্রচারক এআরওয়াই নিউজ জানিয়েছে।
দেশটির রাওয়ালপিন্ডির গ্যারিসন শহরের একটি কারাগারের দুর্নীতি দমন আদালত এই মামলার রায় দিয়েছেন। ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে ইমরান খান সেখানেই কারাবন্দি।
অভিযোগ উঠেছে, তাদের নেতৃত্বাধীন আল-কাদির ইউনিভার্সিটি প্রকল্পে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে তারা ব্যক্তিগত সুবিধা নিয়েছেন। আদালত ইমরান খানকে ১০ লাখ পাকিস্তানি রুপি এবং বুশরা বিবিকে এর অর্ধেক- অর্থাৎ পাঁচ লাখ রুপি জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুনঃ রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে অস্ট্রেলিয়া
বিচারক নাসির জাভেদ রানা সাজা ঘোষণা করে বলেন, ‘প্রসিকিউশন তার মামলার অভিযোগ প্রমাণ করেছে। ইমরান খান দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।’
ইমরান খান, ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, আল-কাদির ট্রাস্টের নামে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন।
এই প্রকল্পের জন্য তারা মালিক রিয়াজ নামে এক সম্পদশালী ব্যক্তির কাছ থেকে জমি গ্রহণ করেন, যা পরে দাতব্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু প্রকল্পটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়েছে এবং এর মাধ্যমে ২৩৯ মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থপাচার হয়েছে বলে অভিযোগ।
২০২২ সালে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাস হওয়ার পর তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন। এর পর থেকে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। ইমরান খানের আইনজীবী ফয়সাল ফারিদ চৌধুরী এই রায়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছেন।সূত্র : রয়টার্স
দৈনিক সচেতন বার্তাকে ইনস্টাগ্রামে ফলো করুন।