Sunday, September 14, 2025
Homeখেলাধুলাসিলেটকে ৬ রানে হারিয়ে ঢাকার দ্বিতীয় জয়

সিলেটকে ৬ রানে হারিয়ে ঢাকার দ্বিতীয় জয়

শেষ ওভারে জয়ের জন্য সিলেটের প্রয়োজন ছিল ২৩ রান, হাতে ৫ উইকেট। সেট ব্যাটার আরিফুলের সঙ্গে উইকেটে ছিলেন সামিউল্লাহ শিনওয়ারি। বোলিংয়ে মুস্তাফিজুর রহমান। দলের প্রয়োজনের মুহূর্তে বোলিংয়ে এসে প্রথম দুইটা বল একদমই ভালো করতে পারলেন না মুস্তাফিজ। লাইন-লেন্থ হারিয়ে ওভারের প্রথম দুই বলেই ছক্কা এবং চার খান তারকা পেসার।

 

একটা বল হয় ওয়াইড। তাতে শেষ ৪ বলে সিলেটের লক্ষ্য গিয়ে দাঁড়ায় ১২ রানে। তবে সেই ১২ রান আর নিতে দেননি মুস্তাফিজ। শেষ ৪ বলে ৫ রান দিয়ে রুদ্ধশ্বাস এক জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন তিনি।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিলেট স্ত্রাইকার্সকে ৬ রানে হারিয়ে টুর্নামেন্টে নিজেদের দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস।

শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেটে ১৯৬ রান করে ঢাকা। জবাব দিতে নেমে ৭ উইকেটে ১৯০ রানে থামে সিলেটের ইনিংস।

বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুটা একদমই ভালো হয়নি সিলেটের। দলীয় ১১ রানে জর্জ মানসির উইকেট হারানোর পর ৩২ রানের মাথায় ইনফর্ম ব্যাটার জাকির হাসানের উইকেট হারায় দলটি। ওভারপ্রতি ১০ রান তাড়া করতে নেমে পাওয়ারপ্লে শেষে কেবল ৩৭ রান করতে পারে আরিফুল হকের দল।

পাওয়ারপ্লের পর হাল ধরেন অ্যারন জোন্স এবং রনি তালুকদার। ৮০ রানের জুটি গড়ে দলকে ম্যাচে ফেরান তারা। তবে রানের চাপটা ততক্ষণে অনেকটা বেড়ে গেছে।

৩২ বলে ৩৬ রান করে রনি যখন বিদায় নেন, তখন দলের প্রয়োজন ৩৭ বলে ৮৫ রান। পরের ওভারে আউট হন আরেক সেট ব্যাটার রনি তালুকদারও।

৪৪ বলে ৬৮ রান করে রনির বিদায়ের সময় সিলেটের প্রয়োজন ৩৩ বলে ৭০ রান। প্রায় অসম্ভব এই লক্ষ্যতাড়ায়ও পিছপা হয়নি সিলেট। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে গেছেন আরিফুল হক ও জাকের আলী।

পঞ্চম উইকেটে আরিফুল এবং জাকের মিলে ১৯ বলে ৪২ রানের জুটি গড়েন। ১৩ বলে ২৮ রান করে ১৯তম ওভারে আউট হন জাকের। তবে দলকে বিপদ থেকে রক্ষা করে যেতে পারেননি জাকের।

তার বিদায়ের সময় ৮ বলে ২৮ রান দরকার ছিল দলের। আরিফুল হক এবং সামিউল্লাহ শেনওয়ারি বেশ লড়াই করলেও শেষ পর্যন্ত এই হিসাব আর মেলাতে পারেননি।

এই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ছয়ে উঠেছে ঢাকা। সমান পয়েন্টে সিলেট নেমে গেছে একদম তলানিতে।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Recent Comments