রেলপথ সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম বলেছেন, শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিষয়ে আমি এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। আমরা বলেছি আলোচনার দ্বার খুলে রেখেছি। আন্দোলনরত রানিং স্টাফদের বিষয়ে শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি একথা বলেন।
রেলওয়ের রানিং স্টাফদের আন্দোলনের মুখে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা থেকে বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল। কোন আগাম বার্তা না দিয়ে হটাত করে ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়ায় দেশের বিভিন্ন ষ্টেশনে হাজার হাজার যাত্রী সমস্যার মুখে কোন কোন ষ্টেশানে হাতাহাতি, হট্রোগোল, রাজশাহী ষ্টেশানে স্টাফদের মারধর ও ভাংচুরের ঘটনাও ঘটেছে।
আরও পড়ুনঃ রাজশাহী রেলস্টেশনে বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা ভাঙচুর করলেন
এমন পরিস্থিতিতে আজ মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ভিআইপি ওয়েটিং রুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপরোক্ত কথা বলেন রেলপথ সচিব।
এসময় তিনি আরও জানান, সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কী করবে সেটা বলতে পারি না। তারা (আন্দোলনরত রানিং স্টাফরা) যদি না আসে তাহলে তো আমাদের হাতে নাই ব্যাপারটা। সবসময় সব ব্যাপার কিন্তু রেল মন্ত্রণালয়ের হাতে থাকে না।
আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরাসরি কোনো যোগাযোগ হচ্ছে না বলে জানিয়ে রেলপথ সচিব বলেন, তাদের সঙ্গে ইনডিরেক্টলি যোগাযোগ হচ্ছে। আমরা অপেক্ষা করছি, আশা করছি তারা আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে।আমাদের আলোচনার দ্বার খোলা আছে। তারা এলে তাদের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে যেকোনো সময় ট্রেন চলাচল শুরু হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ রেলে আ’লীগের রাজত্বে বিএনপির দখল
রানিং স্টাফদের দাবি যৌক্তিক কি না এ বিষয়ে ফাহিমুল ইসলাম বলেন, তাদের দাবি যৌক্তিক মনে করেই আলোচনা করেছি। এটার জন্য আমরা কিছুটা অর্জন করেছি। ওরা চার বছর ধরে আন্দোলন করছে। আমরা একটা অর্জন নিয়ে এসেছি যৌক্তিক মনে করেই।
কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে অচলাবস্থার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন কিনা- এমন প্রশ্নের তিনি বলেন, অর্থ বিভাগের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। এরকম একটা মোমেন্টে তারা তো কিছু বলতে পারছে না। এ বিষয়ে আলোচনার সুযোগ আছে। উপদেষ্টা স্যার বলেছেন আলোচনা করবেন, আমরা অর্থ বিভাগে যাব।
উল্লেখ্য, মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে জটিলতা নিরসন না হওয়ায় কর্মবিরতিতে গেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফরা।
কর্মবিরতির অংশ হিসেবে সোমবার দিবাগত রাত ১২টার পর শিডিউলে থাকা ট্রেনগুলোতে ওঠেননি রানিং স্টাফরা। ফলে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি। যে কারণে সারা দেশে বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল। কর্মবিরতিতে যাওয়া রানিং স্টাফের মধ্যে রয়েছেন ট্রেন চালক, গার্ড ও টিকিট চেকার পদধারীরা।
থাকুন সচেতন বার্তার সাথে ফেসবুকে, দৈনিক সচেতন বার্তা সচেতন বার্তা আছে আপনারই পাশে