Tuesday, September 23, 2025
Homeজাতীয়এনআইডি সেবা নিজেদের হাতে রাখতে চায় ইসি

এনআইডি সেবা নিজেদের হাতে রাখতে চায় ইসি

জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) দায়িত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ফেরত চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাই জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩ বাতিল চেয়ে চিঠি দিয়েছে কমিশন।

 

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন ও বিচার বিভাগে এই চিঠি দেয় এ এম এম নাসির উদ্দিন কমিশন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, এনআইডি কার্যক্রম ইসি থেকে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও ইসির ক্ষমতা খর্ব হবে।

এর আগে এনআইডি কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের অধীনেই রাখতে গত ১০ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি দেন সদ্য সাবেক ইসি সচিব শফিউল আজিম।

নাগরিক সেবার পাশাপাশি পরিচয় শনাক্তকরণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কাছে এর গুরুত্ব বেড়ে যাওয়ার অজুহাত তুলে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ইসির হাত থেকে এনআইডি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যস্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়।

এ বিষয়ে ইসি ও নাগরিক সমাজ থেকে বিরোধিতা করা হলেও এনআইডি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের হাতে ন্যস্ত করতে বিগত সরকার একতরফা এ সংক্রান্ত আইন সংশোধন করে।

শেখ হাসিনার সরকার জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০ বাতিল করে ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩’প্রণয়ন করে।

আরও পড়ুনঃ প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময় অনুযায়ী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি: ইসি সচিব

এরপর ওই বছরই ১৪ নভেম্বর জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের রুলস অব বিজনেস, ১৯৯৬-এ সংশোধন করে বাংলাদেশের নাগরিকের পরিচয় নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র কার্ড তৈরি ও প্রদান, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন ২০২৩ এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য কার্যাবলি সুরক্ষা সেবা বিভাগের আওতায় পরিচালিত হওয়ার বিষয়গুলো যুক্ত করা হয়।

তবে ওই সরকারের প্রণীত আইনে শর্ত ছিল-সরকার গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে আইনটি কার্যকর করবে। শর্তানুসারে গেজেট নোটিফিকেশন জারি না হওয়ার কারণে এটি এখনও ইসির অধীনে রয়েছে।

জানা গেছে, পৃথক অধিদফতর তৈরি করে ২০২৫ সালের মধ্যে এনআইডি ইসির হাত থেকে সুরক্ষা বিভাগে নেয়ার পরিকল্পনা ছিল বিগত সরকারের। কিন্তু ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের প্রেক্ষাপটে অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো এনআইডি হস্তান্তরের নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

সরকার পতনের এক মাসের মাথায় গত ১০ সেপ্টেম্বর ইসি সচিবের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের জনবিভাগের সচিবকে ডিও লেটার দেয়া হয়।

ওই ডিও লেটারে এনআইডির কার্যক্রমের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয় একইসাথে অভিযোগ করা হয়-ইসির সঙ্গে আলোচনা না করে বিগত সরকার একতরফা ওই সিদ্ধান্তটি নিয়েছিল। কমিশনের পক্ষ থেকে এনআইডি সেবা ইসির অধীনে রাখার অনুরোধও জানানো হয়।

সবধরনের খবরের আপডেট জানতে দৈনিক সচেতন বার্তাকে ফেসবুকে  ফলো করুন।
RELATED ARTICLES

Most Popular

Recent Comments

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com