Tuesday, September 23, 2025
Homeসারাদেশনরসিংদীতে পাশের বাড়ি থেকে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

নরসিংদীতে পাশের বাড়ি থেকে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

নরসিংদীর মনোহরদীতে পাশের বাড়ির পেছন থেকে এক মুঠোফোন ব্যবসায়ীর বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার খিদিরপুর ইউনিয়নের বীর আহম্মদপুর গ্রামের মফিজ মুহুরির বাড়ির পেছন থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।

 

নিহত মুঠোফোন ব্যবসায়ীর নাম রাসেল ভূঁইয়া (৩৫)। তিনি ওই এলাকার মৃত মাইন উদ্দিনের ছেলে। স্থানীয় চালাকচর বাজারে মুঠোফোন বিক্রি ও মেরামতের কাজ করতেন তিনি।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, সকালে বীর আহম্মদপুর গ্রামের মফিজ মুহুরির বাড়ির পেছনে রাসেলের বিবস্ত্র লাশ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে স্ত্রীসহ তাঁর পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

আরও পড়ুনঃ ডিউটি থেকে ফিরে ফাঁস নিলেন পুলিশ কনস্টেবল

পরে মনোহরদী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। স্বজনদের অভিযোগ, মফিজ মুহুরির মেয়ে রিতা ও তাঁর স্বামী ট্রাকচালক মাসুম মিয়া শ্বাসরোধ করে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছেন। গতকাল শনিবার রাত থেকে দুজন পলাতক থাকায় এই ধারণা তাঁদের।

নিহত রাসেলের স্ত্রী রোজিনা আক্তার বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনটি মেরামত করে বাড়িতে দিয়ে গিয়েছিলেন রাসেল। এরপর তিনি আবার দোকানের উদ্দেশে রওনা হন। আরেকটি জরুরি বিষয় জানাতে রাসেলের মুঠোফোনে একের পর এক কল দিচ্ছিলেন তিনি (রোজিনা)। কয়েকবার কল কেটে দেওয়ার পর এক পর্যায়ে তাঁর নম্বরই ব্লক করে দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, রাতে বাড়ি না ফেরায় নির্ঘুম রাত কাটে পরিবারের সদস্যদের। আজ সকালে হাঁটতে বের হওয়া কয়েকজন ব্যক্তি মফিজ মুহুরির বাড়ির পেছনে একটি লাশ দেখতে পান। লাশটি রাসেল ভূঁইয়ার বলে শনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যরা।

রোজিনা আক্তার বলেন, ‘রিতা ও মাসুম এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। আগে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকলেও আমি মানা করায় রাসেল যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিল। এতে তাঁরা দুজন রাসেলের প্রতি ক্ষুব্ধ ছিলেন। গতকাল সন্ধ্যায় তাঁদের বাড়ির সামনে দিয়ে গেলে রাসেলকে মেরে লাশ ফেলে তাঁরা পালিয়ে গেছেন।’

মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ঘরের ভেতরে নিয়ে হত্যার পর লাশ ঘরের পেছনে ফেলে রাখা হয়েছিল। লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

থাকুন সচেতন বার্তার সাথে ফেসবুকে দৈনিক সচেতন বার্তা সচেতন বার্তা আছে আপনারই পাশে 

RELATED ARTICLES

Most Popular

Recent Comments

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com