কামাল বেপারী, ৮ মাস ধরে এখনো সে আছেন বন্দী কারাগারেই। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে ধর্ষণ। গ্রেফতারের ৬ মাস পর আসে ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট। রিপোর্টে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর কাছ থেকে পাওয়া ডিএনএ’র সাথে পাওয়া যায়নি কোন মিল। তারপর কেটে গেছে আরও দু’মাস। কামাল বেপারী এখনো কারাগারেই।
ঘটনা নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার কলাবাগ এলাকায়। গত বছরের ৩ নভেম্বর ধর্ষণের শিকার হয়েছিল বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক কিশোরী। ওই ঘটনায় ধর্ষণ মামলা হলে নির্যাতনের শিকার কিশোরীর বক্তব্য মতো কামাল বেপারী নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে ডিএনএ পরীক্ষা কামালের সঙ্গে না মেলায় সন্দেহ হয় পুলিশের। গত রোববার ওই কিশোরীকে ফের নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রকৃত ধর্ষকের তথ্য নেয় পুলিশ। এরপর ওই দিন রাতে পুরান বন্দর চৌধুরীবাড়ি এলাকা থেকে প্রকৃত ধর্ষক অপু নামে এক অটোরিকশা চালককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল ধর্ষণের কথা স্বীকার করে সে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। তবে আট মাস আগে গ্রেপ্তার নিরপরাধ কামাল এখনও কারাবন্দি রয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবুল খায়ের বলেন, গত বছরের ৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় বন্দরের কলাবাগ এলাকার শাওনের অটোরিকশা গ্যারেজের পেছনে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে অটোরিকশা চালক অপু। এ ঘটনায় ওই রাতেই থানায় মামলা করেন কিশোরীর বাবা।
সে সময় কিশোরী কামাল বেপারীর নাম বলে। এরপর কামালকে গেপ্তার করা হয়। আদালতের অনুমতি নিয়ে উভয়ের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। ৬ মাস পর টেস্টের রিপোর্ট পাওয়ার পর কামাল বেপারীর সঙ্গে ডিএনএ পরীক্ষার মিল না পাওয়ায় নড়েচড়ে বসে পুলিশ।
এরপর প্রকৃত ধর্ষকের খোঁজে নামে তারা। রোববার কিশোরীকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে পুলিশকে ওই দিনের ঘটনার বর্ণনা দেয় এবং ধর্ষক সম্পর্কে ধারণা দেয়। এ ধারণার পরিপ্রেক্ষিতে রোববার অটোচালক অপুকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার অপু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।