কুষ্টিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৭৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৯৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। জেলায় এখন পর্যন্ত এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত এটিই। এই সময়ে করোনা পজিটিভ হয়ে মারা গেছেন চারজন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র যানায়, পিসিআর ল্যাবের তুলনায় অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় পজিটিভ রোগী বেশি শনাক্ত হচ্ছে। অ্যান্টিজেন পরীক্ষার পরিমাণও বেশি হচ্ছে। দ্রুত সময়ে পরীক্ষার ফল পাওয়ায় এই পরীক্ষায় নমুনা দেওয়ার হারও বাড়ছে। অ্যান্টিজেন ৪৭৮ নমুনায় পজিটিভ এসেছে ১৭৬টি। বাকি ৯৯টি পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষায় ১৯টি করোনা পজিটিভ এসেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ১৮৫ জন। এ সময়ে করোনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১৮৯ জন। ২৪ ঘণ্টায় ৬০ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৩৪০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় জেনারেল হাসপাতালে ৪৫ জনসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ৫২ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
জেলাজুড়ে ৭ দিনের কঠোর লকডাউন চলমান আছে। আজ মধ্যরাতে এই লকডাউনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। প্রায় সড়কে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে মানুষের ও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। এই ছয় দিনে লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ তৎপরতা চালাচ্ছে। তবে এর মধ্যেও প্রতিদিন শনাক্ত বেড়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, লকডাউনের গত ৬ দিনে জেলায় ৭৬৩ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ৩২ জন। চিকিৎসা–সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সঠিক সময়ে লকডাউন না দেওয়া ও বাস্তবায়ন না করায় এমন হতে পারে।
এদিকে আজ মধ্যরাতে জেলাজুড়ে লকডাউনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তবে মেয়াদ বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি। এই কমিটির সভা আজ রোববার দুপুরের পর যেকোনো সময় অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। সেখান থেকেই পরবর্তী পদক্ষেপ জানানো হবে।